- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
ক্লেইটনের বিশ্বমানের গোলে প্রথম জয় তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল

ঘরের মাঠে জামশেদপুর এফসি–র কাছে প্রথম ম্যাচে আটকে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। হায়দরাবাদ এফসি–র বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিল লালহলু্দ ব্রিগেডের। কুয়াদ্রাত ব্রিগেড জিতল ২–১ ব্যবধানে। শেষ মুহূর্তে বিশ্বমানের গোল করে দলকে জেতালেন রক্ষাকর্তা সেই ক্লেইটন সিলভা।
যদিও এদিন খুব একটা খারাপ খেলেনি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরু থেকেই মাঝমাঠ থেকে বোরহা এবং দুই প্রান্ত থেকে নওরেম মহেশ সিং ও নন্দকুমার বারবার আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। কিন্তু তিন কাঠি ভেদ করতে পারছিলেন না ক্লেইটন সিলভারা। চোখে সংক্রমণের জন্য হায়দরাবাদ এফসি–র বিরুদ্ধে ছিলেন না সিভেরিও। তাঁর পরিবর্তে ক্লেইটন সিলভাকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন কুয়াদ্রাত। তাঁর গোলেই মান বাঁচায় ইস্টবেঙ্গল।
এদিন খেলার গতির বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ এফসি। ৮ মিনিটে বাঁদিক থেকে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে হায়দরাবাদ। পেন্নানন বক্সে ঢুকে মাইনাস করেন। ইস্টবেঙ্গলের কোনও ডিফেন্ডার বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান জোসেফ পল। তিনি গোল লক্ষ্য করে শট নেন। জোসেফের শট শৌভিকের পায়ে লেগে হিতেশের কাছে যায়। ছোট্ট টোকায় তিনি বল জালে পাঠান।
২ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরান ক্লেইটন সিলভা। মাঝমাঠ থেকে ভাসানো বল হায়দরাবাদ বক্সে পান বোরহা। নিম দোরজি বোরহাকে ট্যাকেল করেন। বল ছিটকে যায় ক্লেইটন সিলভার কাছে। কাট্টিমনিকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ক্লেইটন সিলভা। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আক্রমণের চাপ রাখলেও গোল তুলে নিতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইস্টবেঙ্গলের চাপ অব্যাহত ছিল। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এলেও গোল পাচ্ছিল না। ৮৬ মিনিটে বোরহাকে তুলে সিভেরিওকে নামান কুয়াদ্রাত। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ে। ৯০ মিনিটে নিশু কুমারের সেন্টারে সুবিধা জায়গায় থেকেও গোলে রাখতে পারেননি সিভেরিও। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ইনজুরি সময়ে লক্ষ্যভেদ ক্লেইটনের। বক্সের বাইরে থেকে ফ্রিকিকে বিশ্বমানের গোল করে দলকে মূল্যবান ৩ পয়েন্ট এনে দেন ক্লেইটন।
❤ Support Us