- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
টানা ৫ ম্যাচ হারের পর অবশেষে পয়েন্টের মুখ দেখল মহমেডান

ওড়িশা এফসি যথেষ্টই শক্তিশালী দল। আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে অতীতে বহুবার বেগ দিয়েছে। এই রকম শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে উড়ে যাবে না তো মহমেডান? আশঙ্কা নিয়েই শুক্রবার কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজির হয়েছিলেন সাদাকালো সমর্থকরা। স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। টানা ৫ ম্যাচ হারের গ্লানি কাটিয়ে অবশেষে পয়েন্ট ঘরে তুলল মহমেডান। তবে জয় নয়, ঘরের মাঠে ওড়িশাকে আটকে দিল আন্দ্রে চেরনিশভের দল। ম্যাচের ফল গোলশূন্য।
অন্যান্য পজিশন তো রয়েছেই, মহমেডানে সবথেকে দুর্বল জায়গা আক্রমণভাগ। সিজার মানজোকি থেকে শুরু করে অ্যালেক্সিজ গোমেজ, কার্লোস ফ্রাঙ্কা, রেমসাঙ্গা, প্রত্যেকেই গোল কানা। চলতি আইএসএলে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫ গোল করেছে। এদিন ছন্দে থাকা ওড়িশা এফসি–র বিরুদ্ধে মহমেডান ফুটবলাররা যতগুলি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল, জিতেই মাঠ ছাড়তে পারত। অ্যালেক্সিজ, ফ্রাঙ্কা, পরিবর্ত হিসেবে নামা মানজোকিদের ব্যর্থতায় জয় আসেনি।
প্রথমার্ধে দুই দলেরই খেলা খুব একটা উচ্চমানে পৌঁছয়নি। দিয়েগো মরিসিও, হুগো বুমোস সমৃদ্ধ ওড়িশা এফসি–র আক্রমণভাগ একবারের জন্যও গোলমুখ খুলতে পারেনি। কোনও অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি মহমেডান গোলকিপারকে। বরং বারবার প্রতিআক্রমণে উঠে এসে ওড়িশা রক্ষণকে ব্যস্ত রাখছিলেন অ্যালেক্সিস, ফ্রাঙ্কা, রেমসাঙ্গারা। ১৪ মিনিটে গোলের সুযোগ এসেছিল মহমেডানের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন অ্যালেক্সিজ। কোনও রকমে বাঁচান ওড়িশা গোলকিপার অমরিন্দার। ৪০ মিনিটে বন ধাক্কা খায় মহমেডান। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফ্রাঙ্কা। তাঁর জায়গায় মানজোকিকে নামান চেরনিশভ।
দ্বিতীয়ার্ধে মহমেডানের আক্রমণের চাপ আরও বেশি ছিল। বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগও তৈরি হয়। ৬৭ মিনিটে মহমেডানের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রশবার। বিকাশের পাস ধরে বক্সের মাথা থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন অ্যালেক্সিজ। বল বারে লেগে ফিরে আসে। কয়েক মিনিট পর রেমসাঙ্গার শট আটকে দেন অমরিন্দার। চোট পেয়ে মানজোকি বেরিয়ে যাওয়ার আগে একবার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেছিলেন। বল ক্রশপিস ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। ১৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শেষেই থাকল মহমেডান।
❤ Support Us