Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫

চেন্নাইন এফসি–র কাছে ৩–০ ব্যবধানে হেরে সুপার সিক্সে থাকার স্বপ্ন শেষ ইস্টবেঙ্গলের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
চেন্নাইন এফসি–র কাছে ৩–০ ব্যবধানে হেরে সুপার সিক্সে থাকার স্বপ্ন শেষ ইস্টবেঙ্গলের

‘‌বৃথা আশা মরিতে মরিতেও মরে নাই।’ চেন্নাইন এফসি–র বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা ছিল এমনই। চেন্নাইন ম্যাচের পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেল। এখন অনায়াসে বলা যায়, প্রথম ছয়ে থাকার যাবতীয় আশা শেষ। ঘরের মাঠে চেন্নাইন এফসি–র কাছে ৩–০ ব্যবধানে হেরে সুপার সিক্সে থাকার স্বপ্নের যবনিকা ইস্টবেঙ্গলের। লাল–হলুদ ব্রিগেডের কাছে আইএসএলের বাকি ম্যাচ শুধুই অস্তিত্ব রক্ষার।
চোট–আঘাত ও কার্ড সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এদিনও তার ব্যতিক্রম নেই। লাল–হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোকে সবথেকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে রক্ষণ নিয়ে। চেন্নাইন ম্যাচেও সেই রক্ষণই ডোবাল ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের শুরুটা দেখে মনে হয়েছিল ‌হয়তো চেন্নাইনকে হারিয়ে সুপার সিক্সের আশা বাঁচিয়ে রাখবে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোথায় কী!‌ প্রথম মিনিটেই দিয়ামানতাকোসের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন পিভি বিষ্ণু। দুর্দান্ত দক্ষতার সঙ্গে বাঁচান চেন্নাইন গোলকিপার। ৯ মিনিটে মহেশ সিংয়ের আরও একটা প্রয়াস ব্যর্থ হয়।
এরপরই ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলের। ১২ মিনিটে রক্ষণের দোষে গোলহজম। জর্ডানের শট প্রতিহত করেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল। বল পেয়ে যান কনর শিল্ড। গোল লাইন থেকে তিনি ব্যাকহিল করেন। নিশু কুমার ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল ঢুকিয়ে দেন। ২১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান জর্ডান। বাঁদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন ইরফান। তাঁর সেন্টার থেকে বল পেয়ে প্রভসুখনকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান জর্ডান। প্রথমার্ধের বাকি সময়েও ইস্টবেঙ্গলকে চেনা যায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে পরিকল্পনায় কিছুটা বদল নিয়ে আসেন অস্কার ব্রুজো। প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ শানাতে প্রভাত লাখরাকে মাঠে নিয়ে আসেন। তুলে নেন হেক্টর ইউস্তেকে। জিকসন সিংকে নিয়ে আসেন লালচুংনুঙ্গার পাশে। এতেই অনেকটা বদলে যায় ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসতে থাকেন মহেশ, দিয়ামানতাকোস, বিষ্ণুরা। ৫৫ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসেছিল সল ক্রেসপোর সামনে। নিশু কুমারের ফ্রিকিক থেকে বল পেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। রিচার্ড সেলিস থেকে শুরু করে মেসি বাওলি, দিয়ামানতাকোস, সবাই সুযোগ নষ্ট করেন। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে ইস্টবেঙ্গলের লজ্জা আরও বাড়ান চিমাচুকু। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের অফসাইড ট্র‌্যাপের সুযোগ নিয়ে একক প্রয়াসে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে ৩–০ করেন। ১৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরেই রইল ইস্টবেঙ্গল। ‌সুপার সিক্সের সম্ভাবনা শেষ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!