কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪ গোল দিয়ে প্লে অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বারবার বলে আসছিলেন, প্লে অফের স্বপ্ন এখনও শেষ হয়নি। অনেককিছুই ঘটতে পারে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে লিগ পর্বের বাকি তিনটি ম্যাচই ফাইনাল হিসেবে দেখেছিল লালহলুদ শিবির। কেরালা ব্লাস্টার্স ছিল অন্যতম কঠিন হার্ডলস। সেই কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪–২ ব্যবধানে হারিয়ে প্লে অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল। ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে সপ্তম স্থানে উঠে এল লালহলুদ ব্রিগেড।
চোটের জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে সল ক্রেসপো। তিনি না থাকায় বারবার হা–হুতাশ করতে দেখা গেছে লালহলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে। ক্রেসপোর থাকা আর না থাকার মধ্যে পার্থক্য কতটা বুধবার কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচে বোঝা গেল। শুধু দু–দুটি গোলই করেননি, আক্রমণভাগকে নেতৃত্ব দিলেন। পেছন থেকে খেলাও তৈরি করলেন। জিয়নকাঠির মতো বদলে দিলেন ইস্টবেঙ্গলকে।
ইস্টবেঙ্গলের কাছে ছিল ‘‌ডু অর ডাই’‌ ম্যাচ। জয়ের জন্য তাই শুরু থেকেই কেরালা ব্লাস্টার্সের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কুয়াদ্রাতের দল। ৩ মিনিটেই গোল করার সুযোগ আসে ইস্টবেঙ্গলের সামনে। সল ক্রেসপো কাজে লাগাতে পারেননি। খেলার গতির বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স। রাহুল কেপির লম্বা পাস বিপদমুক্ত করতে গিএ ভুল করে বসেন প্যান্টিচ। লুজ বল ধরে গোল করে যান ফেডর কারনিচ। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। বিষ্ণুকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন কেরালা ব্লাস্টার্সের গোলকিপার করনজিৎ সিং। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করেন সল ক্রেসপো। এই গোলের আগেই দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কেরালার জিকসন সিং।
জয়ের জন্য দ্বিতীয়ার্ধে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। বারবার আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। তবে তিন কাঠি ভেদ করতে পারছিলেন না ক্রেসপো, ক্লেইটন, মহেশরা। অবশেষে ৭১ মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কেরালা গোলকিপারের ভুল ক্লিয়ারেন্স ধরে ক্রেসপোকে মাইনাস করেন আমন সিকে। ডান পায়ের শটে গোল করেন ক্রেসপো। এরপরই কেরালার নওচা সিং লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। বিপক্ষ ৯ জন হয়ে যাওয়ার সুবিধা কাজে লাগায় ইস্টবেঙ্গল।
৮২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। মহেশ সিংয়ের শট দাইসুকের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। ২ মিনিট পরেই হিজাজির আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় কেরালা। ৮৭ মিনিটে চাপ কাটে ইস্টবেঙ্গলের। ভিক্টর ভাসকোয়েজের পাস থেকে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে চতুর্থ গোল করেন মহেশ সিং। শেষদিকে ভাসকোয়েজের একটা হেড ও ফেলিসিওর শট বারে লেগে ফিরে আসে। ‌