- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- এপ্রিল ৮, ২০২৪
রেকর্ড ভেঙে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে সুপার সিক্সের আশা বাঁচিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল

প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে গেলে ইস্টবেঙ্গলের কাছে বাকি দুটি ম্যাচই ছিল ‘ডু অর ডাই’। জেতা ছাড়া রাস্তা নেই। আগের ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিয়েছিল লালহলুদ ব্রিগেড। আশঙ্কা ছিল ঘরের ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি–র বিরুদ্ধে জয় আসবে কিনা। কারণ, আইএসএলের ইতিহাসে কখনও পরপর দুই ম্যাচে জেতেনি ইস্টবেঙ্গল। নিজেদের রেকর্ড ভেঙে বেঙ্গালুরুকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম ছয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখল লালহলুদ।
জেতা ছাড়া সামনে দ্বিতীয় কোনও পথ খোলা নেই। এই পরিস্থিতিতে ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসি–র বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক দল সাজিয়েছিলেন লালহলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। চোট সারিয়ে সল ক্রেসপো মাঠে ফেরায় ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণে বৈচিত্র্য এসেছে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ম ভূমিকা নিয়েছিলেন। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মাঝমাঠকে নেতৃত্ব দিলেন। তবে শুরুর দিকে তেমন ছন্দে দেখা যায়নি ইস্টবেঙ্গলকে। এর প্রধান কারণ ক্লেইটন সিলভার আটকে যাওয়া। ম্যাচের প্রথম সুযোগ অবশ্য এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। ১১ মিনিটে ৬ গজ বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া শিবাশক্তির শট আটকে দিয়ে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল।
এরপরই মহেশ সিং, কেপি বিষ্ণু, সল ক্রেসপোদের দাপটে ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ১৭ মিনিটে বল নিয়ে বেঙ্গালুরু বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন মহেশ সিং। তাঁকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সল ক্রেসপো। গোলের পর কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। সেই সুযোগে আবার খেলায় ফিরে আসে বেঙ্গালুরু। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথমার্ধে খেলার ফল থাকে ১–০।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু। আক্রমণের ধার বাড়াতে সুনীল ছেত্রিকে নামা বেঙ্গালুরু কোচ জারাগোজা। ৫৯ মিনিটে সুনীলের গোলমুখী শট বক্সের মধ্যে হরমনজোত খাবরার হাতে লাগে। পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান সুনীল। এরপর জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। ৭৩ মিনিটে নিশু কুমারের দুর্দান্ত ক্রস থেকে হেডে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ক্লেইটন সিলভা। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে আমন সিকে সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান বাড়ত ইস্টবেঙ্গলের।
২১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ৬ নম্বর উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, ২০ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট পেয়ে সপ্তম স্থানে চেন্নাইন এফসি। ২১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে অস্টম স্থানে নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেড। ২২ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে নেমে গেল বেঙ্গালুরু এফসি। ১০ এপ্রিল পাঞ্জাব এফসি–র বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ইস্টবেঙ্গল। ওই ম্যাচে শুধু জিতলেই চলবে না, সুপার সিক্সের জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে চেন্নাইন এফসি ও বনাম নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচের দিকে।
❤ Support Us