- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- মে ৪, ২০২৪
‘ডাবল’ হল না, মুম্বইয়ের কাছে ৩–১ ব্যবধানে হেরে আইএসএল খেতাব জয়ের স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের

লিগ শিল্ড জয়ের পর মোহনবাগান সমর্থকরা স্বপ্ন দেখেছিলেন ‘ডাবল’ করার। টানা দ্বিতীয়বার আইএসএল খেতাব জয়ের সাক্ষী থাকতে বিকেল থেকেই যুবভারতীর দিকে রওনা দিয়েছিলেন বাগান সমর্থকরা। স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল সবুজ–মেরুন শিবিরের। ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি–র কাছে ৩–১ ব্যবধানে হেরে টানা দ্বিতীয়বার আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ। জেসন কামিন্সের গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। দ্বিতীয়ার্ধে পেরেরা দিয়াজ, বিপিন রাই ও জাকুবের গোলে মুম্বই নগরীতে গেল আইএসএল ট্রফি।
ম্যাচের শুরু থেকেই মুম্বই সিটি এফসি–র বলের দখল বেশি ছিল। মোহবাগানকে জার্সি দেখে চিনতে হচ্ছিল। আধিপত্য থাকলেও গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না ছাংতে পেরেরা দিয়াজরা। ১৩ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধে সুযো এসে গিয়েছিল মোহনবাগানের সামনে। আনোয়ারের লম্বা পাস ধরে অনিরুদ্ধ থাপা থ্রু বাড়িয়েছিলেন পেত্রাতোসের উদ্দেশ্যে। সময়মতো এসে তিনি বল বিপদমুক্ত করেন। ২ মিনিট পরই ছাংতের সেন্টার সুবিধাজনক জায়গায় পেয়েও বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন মেহতাব সিং। তবে ২৯ মিনিটে মুম্বইয়ের হয়ে সবথেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ছাংতে। ৩১ মিনিটে ছাংতের ফ্রিকিক ক্রসবারে না লাগলে এগিয়ে যেতে পারত মুম্বই।
একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে মোহনবাগান রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখছিলেন ছাংতেরা। ৩৯ মিনিটে আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল মুম্বইয়ের সামনে। সে যাত্রা মোহনবাগানকে বাঁচিয়ে দেশ পোস্ট। ছাংতের শট শুভাশিসের দু’পায়ের ফাঁক দিয়ে গলে পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপরই খেলায় ফিরে আসে মোহনবাগান। ৪২ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর শট কোনও রকমে বাঁচান মুম্বই গোলকিপার পূর্বা। ২ মিনিট পরই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এই গোলের কারিগর সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। ৩৫ গজ দুর থেকে গোলার মতো শট নিয়েছিলেন তিনি। মুম্বই গোলকিপার পূর্বা কোনও রকমে চাপড়ে বল সামনে ফেলেন। ফিরতি বলে দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা সুযোগসন্ধানী জেসন কামিংস।
সমতা ফেরানোর জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে মুম্বই সিটি। ৫৩ মিনিটে নগুয়েরার লম্বা পাস ধরে সমতা ফেরান পেরেরা দিয়াজ। ৬১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল মুম্বইয়ের সামনে। ছাংতের পাস থেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন রাহুল ভেকে। দ্বিতীয়ার্ধেও মোহনবাগানের খেলায় কোনও বদল হয়নি। চূড়ান্ত দাপট দেখিয়ে যায় মুম্বই।
৭১ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান মুম্বইয়ের সেরা স্ট্রাইকার পেরেরা দিয়াজ। তাঁর জায়গায় মাঠে আসেন জাকুব। তাতেও কিন্তু মুম্বইয়ের ধার কমেনি। আক্রমণের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ৮১ মিনিটে এগিয়ে যায় মুম্বই। ছাংতে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন। মোহনবাগান রক্ষণে প্রতিহত হয়ে বল যায় জাকুবের কাছে। গোলের সামনে তিনি পাস বাড়ান বিপিনকে। দলকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি বিপিন। ৮৬ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি কামিংস। ইনজুরি সময়ের ৭ মিনিটে মুম্বইয়ের আইএসএল খেতাব জয় নিশ্চিত করেন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা জাকুব। ‘ডাবল’ করার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল মোহনবাগানের কাছে।
❤ Support Us