- প্রচ্ছদ রচনা মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- এপ্রিল ১৫, ২০২৪
মধুর প্রতিশোধ, মুম্বইকে হারিয়ে লিগ শিল্ড ঘরে তুলল মোহনবাগান

আইএসএলে আগে কখনও মুম্বই সিটি এফসি–র বিরুদ্ধে জয় আসেনি। তার ওপর তিন বছর আগে এই মুম্বইয়ের কাছে হেরে লিগ শিল্ড খেতাব হাতছাড়া হয়েছিল। সোমবার যুবভারতীতে মোহনবাগানের কাছে ছিল প্রতিশোধের ম্যাচ। ঘরের মাঠে মুম্বইকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে শুধু ইতিহাস গড়ল না, একদিকে যেমন প্রথম বার লিগ শিল্ড ঘরে তুলল, পাশাপাশি এএফসি এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করল মোহনবাগান। একই সঙ্গে লিগ শীর্ষে থেকে সরাসরি আইএসএলের সেমিফাইনালেও পৌঁছে গেল।
চলতি আইএসএসলের প্রথম পর্বের ম্যাচে ২–১ ব্যবধানে জিতেছিল মুম্বই সিটি এফসি। ঘরের মাঠে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ছিল মোহনবাগান। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল সবুজ–মেরুন ব্রিগেডের। ১৯ মিনিটে পোস্ট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে এগিয়ে যেত মোহনবাগান। অবিনাশ থাপার সেন্টারে হেড করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন অভিষেক সূর্যবংশী।
যদিও গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মোহনবাগানকে। ২৯ মিনিটের মাথায় দিমিত্রি পেত্রাতোসের কাছ থেকে বল পেয়ে কাট করে বক্সে ঢুকে জোরালো শটে গোল করেন লিস্টন কোলাসো। ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল মুম্বইয়ের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন ব্যান নিফ। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে সেই বল বাঁচান বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। প্রথমার্ধের অন্তিমলগ্নে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ছাংতে।
সমতা ফেরানোর জন্য দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে মুম্বই সিটি। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরিও করে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। ৮০ মিনিটে মোহনবাগানের লিগ শিল্ড জয় অনেকটাই নিশ্চিত করেন জেসন কামিংস। ডানপ্রান্ত থেকে কামিংসের উদ্দেশ্যে লম্বা পাস বাড়িয়েছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। সেই বল ধরে বক্সে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় ২–০ করেন জেসন কামিংস। ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও দমে যায়নি মুম্বই। ৮৯ মিনিটে ব্যবধান কমায় মুম্বই সিটি। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল আংশিক প্রতিহত হয়ে ফিরে এসে ফাঁকায় দাঁড়ানো ছাংতের কাছে যায়। বাঁপায়ের জোরালো শটে ২–১ করেন ছাংতে। ইনজুরি সময়ের শুরুতেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বেরিয়ে যান ব্রেন্ডন হামিল। মুম্বই সিটি অবশ্য সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। ২২ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে থেকে আইএসএলের সেমিফাইনালে গেল মোহনবাগান। ৪৭ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে মুম্বই সিটি।
❤ Support Us