- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- এপ্রিল ২৯, ২০২৪
কলিঙ্গর প্রতিশোধ যুবভারতীতে, টানা দ্বিতীয়বার আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান

প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে ভুবনেশ্বরে ২–১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েও আত্মবিশ্বাস হারায়নি মোহনবাগান। হাবাসের আশা ছিল, ঘরের মাঠে নির্ধারিত সময়ে ২ গোলের ব্যবধানে জিতেই দল ফাইনালে যাবে। ফুটবলারদের ওপর তাঁর সেই ভরসা যে অমূলক ছিল না, প্রমাণ হয়ে গেল। যুবভারতীতে দ্বিতীয় পর্বের সেমিফাইনালে ওডিশাকে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে আইএসএল ফাইনালে চলে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। দুই পর্ব মিলিয়ে মোহনবাগানের জয় ৩–২ ব্যবধানে।
মরণবাঁচন ম্যাচে শুরু থেকেই ঝাঁপিয়েছিল মোহনবাগান। প্রথম মিনিটেই গোলের সুযোগ এসেছিল হাবাসের দলের সামনে। অনিরুদ্ধ থাপার শট আটকে দেন আহমেদ জাহু। ১১ মিনিটে ওডিশা এফসি–কে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ এসেছিল ইসাকের কাছে। রয় কৃষ্ণার পাস ধরে শট নিয়েছিলেন। কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান বাগান ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। তবে গোলের জন্য মোহনবাগানকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ২২ মিনিটে কামিংসের গোলে এগিয়ে যায়। বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ওডিশা গোলকিপার আংশিক প্রতিহত করলে সামনে দাঁড়ানো কামিংসের কাছে বল চলে যায়। ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন কামিংস।
পিছিয়ে পড়ার মিনিট তিনেকের মধ্যেই সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল ওডিশার কাছে। ডানদিক থেকে দুর্দান্ত সেন্টার করেছিলেন রয় কৃষ্ণা। সুবিধাজনক জায়গা থেকেও বল জালে রাখতে পারেননি মরিসিও। ৩৮ মিনিটে মোহনবাগানের ব্যবধান বাড়তে দেয়নি ওডিশা গোলকিপার অমরিন্দার সিংয়ের দুরন্ত প্রয়াস। লিস্টন কোলাসোর শট দারুণভাবে বাঁচান অমরিন্দার। প্রথমার্ধের শেষদিকে চাপ রাখলেও সমতা ফেরানোর গোল তুলে নিতে পারেননি রয় কৃষ্ণারা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ওডিশা এফসি। শুরুর দিকে মোহনবাগানকে কিছুটা ছন্নছাড়া মনে হচ্ছিল। সেই সুযোগে জাঁকিয়ে বসেন রয় কৃষ্ণারা। ধীরে ধীরে আবার ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয় হাবাসের ফুটবলাররা। তার মাঝেই ৫৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসে গিয়েছিল ওডিশার সামনে। জেরির শট কোনও রকমে আটকান বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। ৫৭ মিনিটে সহজ ব্যবধান বাড়ানোর সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন অবিনাশ থাপা। ৮১ মিনিটে আবার সুযোগ এসে গিয়েছিল ওডিশার সামনে। রানাওয়াডের ক্রস গোলের মুখে দাঁড়ানো রয় কৃষ্ণার কাছে পৌঁছনোর আগেই আনোয়ার আলির পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা দীপেন্দু বিশ্বাস কর্নারের বিনিময়ে না বাঁচালে বিপদের মুখে পড়ত মোহনবাগান।
শেষদিকে আক্রমণ প্রতিআক্রমণে খেলা আরও জমে ওঠে। ইনজুরি সময়ের শুরুতেই ৬ গজ বক্সের মাথা থেকে অমরিন্দারকে একা পেয়েও বল জালে রাখতে পারেননি পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা কিয়ান নাসিরি। মিনিট খানেকের মধ্যেই কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। মনবীর সিংয়ের পাস ধরার জন্য এগিয়ে গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন অমরিন্দার সিং। তাঁর গায়ে বল ধাক্কা খেয়ে সামনে দাঁড়ানো সাহাল আব্দুল সামাদের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। একই সঙ্গে টানা দ্বিতীয়বার আইএসএল ফাইনালে উঠে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস।
❤ Support Us