- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ডিসেম্বর ৭, ২০২৪
চেন্নাইন এফসি–কে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দুটি জয় তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল
অস্কার ব্রুজোর হাত ধরে কি সত্যিই বদলে গেল ইস্টবেঙ্গল? বদলে না গেলে কী আর টানা দুটি ম্যাচে জয় আসে। মানেলো দিয়াজ, স্টিভেন কনস্টানটাইন, কার্লেস কুয়াদ্রাতরা যা পারেননি, তাই করে দেখালেন অস্কার ব্রুজো। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডকে হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। শনিবার চেন্নাইন এফসি–কে হারাল ২–০ ব্যবধানে। আইএসএলের ইতিহাসে এই প্রথম ক্লিনশিট নিয়ে টানা দুটি ম্যাচে জয় পেল লালহলুদ ব্রিগেড।
চলতি মরশুমে একের পর এক ম্যাচ হারতে হারতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কার্লেস কুয়াদ্রাতকে সরিয়ে লালহলুদ কর্তারা দায়িত্ব দিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজোর হাতে। এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে তাঁর হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়ায় ইস্টবেঙ্গল। দলকে নকআউট পর্যায়ে তুলেছেন। এবার আইএসএলে পরপর দুটো ম্যাচে জয়। এদিন চেন্নাইন এফসি–কে হারিয়ে ৯ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পেয়ে ১১ নম্বর স্থানে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। দলকে প্রথম ছয়ে তুলে আনার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন অস্কার ব্রুজো।
ঘরের মাঠে চেন্নাইন এফসি কামড় দিতে পারে। সেকথা মাথায় রেখে প্রথমার্ধে খোলস ছেড়ে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি অস্কার ব্রুজো। ঘর বাঁচিয়ে আক্রমণে যাওয়ার রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন। লালহলুদের রক্ষণাত্মক মানসিকতার সামনে প্রথমার্ধে সেভাবে গোলমুখ খুলতে পারেনি চেন্নাইন। তার মাঠেই ২৫ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল চেন্নাইনের সামনে। কনর শিল্ডে সেন্টারে হেড করেছিলেন চিমাচুকু। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মিনিট পাঁচেক পর আবার গোলের সুযোগ এসেছিল চিমাচুকুর সামনে। কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথমার্ধে সেই অর্থে তেমন কোনও সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। দলের সেরা স্ট্রাইকার দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস একেবারেই ছন্দে ছিলেন না।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে দাপট দেখাতে থাকে চেন্নাইন। গোলের সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি চেন্নাইন স্ট্রাইকাররা। খেলার গতির বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে লম্বা বল বাড়িয়েছিলেন মহেশ সিং। ক্রেসপো সেই বল ধরে ৬ গজ বক্সে বাড়ান। বল চেন্নাইন গোলকিপারের গায়ে লেগে ছিটকে বেরিয়ে এলে জালে পাঠান পিভি বিষ্ণু।
এগিয়ে যাওয়ার পর সাহসী হয়ে আক্রমণে ধার বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে। পিভি বিষ্ণুর জায়গায় নন্দকুমার নামার পর আক্রমণে আরও গতি আসে। ৮০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। দিয়ামানতাকোসের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা ক্লেইটন সিলভার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪ মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। নন্দকুমারের শট চেন্নাইনের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ছিটকে এলে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত শটে গোল করেন জিকসন সিং।
❤ Support Us