Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • ডিসেম্বর ১০, ২০২৪

পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ার ২৫০ সামরিক ঘাঁটিতে ইজরায়েলি হানা, গোলান মালভূমির বাফার জোন দখল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ার ২৫০ সামরিক ঘাঁটিতে ইজরায়েলি হানা, গোলান মালভূমির বাফার জোন দখল

সিরিয়ার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে গোলান মালভূমির বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি সিরিয়ার ভূখণ্ডে আড়াইশোরও বেশি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি বাহিনী। অধিকাংশই রাশিয়া ও ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীনে ছিল।
রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় ২৪ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ ক্ষমতায় থাকায় সিরিয়ার ওপর হামলা চালাতে পারেনি ইজরায়েল। বাশার আল–আসাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার পেছনে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীরও বড় অবদান ছিল। বাশার ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর পরই ইজরায়েল বিমানবাহিনী সিরিয়ার ২৫০ টিরও বেশি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। ইজরায়েলের বিমানবাহিনীর ইতিহাসে সিরিয়ার ওপর অন্যতম বড় হামলার ঘটনা।
ইজরায়েলি বিমানবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু ছিল বাশার আল–আসাদের সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি, কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান, ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, উৎপাদন ক্ষেত্র, ওয়্যারহাউস এবং ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। বাশার আল–আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে তাঁর অবদান রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘‌আসাদ সরকারের প্রধান সমর্থক ইরান ও হিজবুল্লাহর ওপর আমরা যে আঘাত হেনেছি, এটা তার প্রত্যক্ষ ফলাফল।’‌
এদিকে, বাশার আল–আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর সিরিয়ায় কার হাতে দায়িত্ব যায়, সেদিকে নজর গোটা বিশ্বের। ইতিমধ্যেই দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে তৎপরতা শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মহম্মদ আল–বশিরকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। যদিও সিরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। বাশারের পতনে এইচটিএসের সঙ্গে যে কয়েকটি গোষ্ঠী ছিল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ)। ভিন্নমত থাকা এই গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে এইচটিএস কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বাশারের পতনের কৃতিত্বে ভাগ বসাচ্ছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‌সিরিয়ার শাসনব্যবস্থায় অসাধারণ এই পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্র গৃহীত কৌশলের ফলাফল। ওয়াশিংটনের কৌশল ওই অঞ্চলে রাশিয়া ও ইরানের ভূমিকাকে দুর্বল ও আসাদের পতনকে ত্বরান্বিত করেছে।’‌ তবে বাশারের পতনকে ‘‌ঐতিহাসিক ঘটনা’‌ বলে অভিহিত করলেও এটা ‘ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার’ সময় বলেও মনে করছেন বাইডেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!