গাজায় মৃত্যুমিছিল অব্যাহত, ইসরায়েলের বোমায় মৃত আরও ৩৩ !

ইসরায়েল গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৩ জনের। গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রসংঘে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেশ হয়েছিল, কিন্তু ভেটো প্রয়োগ করে সেই চেষ্টাকে আটকে দিয়েছিল আমেরিকা। ফলে গত দুমাস ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলা যুদ্ধে ছেদ পড়ার সম্ভাবনা জোরাল ধাক্কা খেয়েছিল। বুধবারেও পুনরায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের ভোটাভুটি থমকে গিয়েছে। ফলে গাজায় ইসরায়েলি হানায় মৃত্যু মিছিল এখনও অব্যাহত।

মঙ্গলবার গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মানবিকতার কারণে ইসরায়েলের উপর যুদ্ধ থামাতে ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু ইসরায়েলের নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন এই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত তিনি চালিয়ে যাবেন। যুদ্ধ বিরতির দাবিতেই গত সপ্তাহে প্রস্তাব পেশ হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে। কিন্তু আমেরিকার ভেটো তা আটকে যায়। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ নিয়ে ও গাজায় দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ চালু করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটির কথা ছিল। বুধবার তা করা সম্ভব হয়নি।

হামাস বনাম ইসরায়েল যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিকের। নিহতদের মধ্যে শিশু ও মহিলার সংখ্যাই বেশি। এই প্রেক্ষাপটে রক্তপাত থামাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। কিন্তু সেই প্রয়াসে ভেটো প্রয়োগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভেটো প্রয়োগের পক্ষে ওয়াশিংটনের যুক্তি, এই প্রস্তাবে যুদ্ধের ময়দানে পরিস্থিতি কিছুই পালটাবে না। বাস্তব থেকে যোজন দূরে এই প্রয়াস। এটা অর্থহীন।

এদিকে, রাষ্ট্রসংঘে এই প্রস্তাব পেশ হওয়ার পরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাই হয়ে যাক না কেন হামাসের শেষ না দেখে যুদ্ধ থামাবে না ইসরায়েল। ফলে নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছে তেল আভিভ। তাই রাষ্ট্রসংঘে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব কোনওভাবে পাশ হলেও তা আদৌ ইসরায়েল মানবে কি না সেটাই এখন প্রশ্ন। আর এর জেরে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার উত্তরও অজানা। আসলে ইসরায়েলের এই জোর আসছে জো বাইডেনের মিত্রতায়।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হওয়া হামাসের হামলার বদলা নিতে হামাসকে  চিরতরে মুছে ফেলার পণ করেছে ইসরায়েল। জঙ্গিদের নিকেশ করতে গাজায় তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইসরায়েলি সেনা বা আইডিএফ। ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিদের একের পর এক ডেরা। উত্তর গাজাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর এবার তেল আভিভের নজর পড়েছে দক্ষিণ গাজায়। সেখানেও এখন জোরদার হামলা চালানো হচ্ছে।