- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ১৩, ২০২৩
দশ লক্ষ ফিলিস্তিনিকে গাজার উত্তরাঞ্চল ছাড়তে বলল ইসরায়েল, এই সিদ্ধান্তকে জাতিসংঘ “অসম্ভব” বলে অভিহিত করেছে

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে অবস্থানকারী সমস্ত ফিলিস্তিনি নাগরিকদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিনের বোমা হামলায় দেড় হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যার পরে ইসরায়েল আবার স্থল অভিযান চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলের অবস্থান কী হয় তা দেখে তারা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে। ইতিমধ্যেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ ইরান ও সৌদি আরবকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। ইরান ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রপ্রধানরা যৌথ বার্তায় জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধপরাধ বন্ধ করতে হবে। দীর্ঘ সাত বছর ধরে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব ছিল, সেই দ্বন্দ্ব মিটতেই ফোনে কথা বলেছেন দুই দেশের প্রধান। সেই আলোচনাতেই ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানিয়েছেন, গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ১০ লক্ষ মানুষকে উত্তরাঞ্চল থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এই সংখ্যা গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক। জাতিসংঘ ইসরায়েলের এই নির্দেশকে “অসম্ভব” বলে অভিহিত করেছে। ইসরায়েলের এই নির্দেশ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক আরও বলেন, ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ গাজায় বর্তমানে চলতে থাকা “ট্র্যাজেডি”কে আরও বেদনাদায়ক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। গাজায় জাতিসংঘের সকল কর্মী, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীসহ সবাইকে সরিয়ে নিতে বলেছে ইসরায়েল, এটা কি ভাবে সম্ভব ! গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে মূল গাজা শহর, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির, বেইত লাহিয়া এবং বেইত হানুন অঞ্চল রয়েছে।
গাজার বাসিন্দারা এই মুহূর্তে ইসরায়েলের চরম নৃশংসতার শিকার। ইসরায়েল দখলদার বাহিনীর হামলার হাত থেকে থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী-শিশু কেউই। ফিলিস্তিন দাবি করছে, গত ছয় দিনের ধারাবাহিক হামলায় দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহতের মধ্যে চার শতাধিক শিশু রয়েছে। প্রায় ২৫০ নারীর নিহত হয়েছে এই আক্রমণের ফলে। কিন্তু তারপরও ইসরায়েলের হামলা থামছে না।
ফিলিস্তিনিরা বলছে, ইসরায়েল বাহিনী শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। গাজায় খাবার সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিও বন্ধ করে দিয়েছে। পণবন্দিদের মুক্তি না দিলে এগুলোর কোনও পরিষেবাই গাজায় সরবরাহ না করার অঙ্গীকার করেছে তারা। ফলে গাজায় মানবিক সংকট গভীর থেকে আরও গভীরতর হয়েছে। সেখানকার হাসপাতালগুলো এক কথায় মর্গে পরিণত হচ্ছে।
❤ Support Us