- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
৪০ জিম্মির মুক্তির জন্য হামাসকে একসপ্তাহ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইজরায়েলের
৪০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ইজরায়েল হামাসকে গাজায় এক সপ্তাহ যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এই জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে হামাসদের। এই জিম্মিদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা, বয়স্ক ও যাদের খুবই জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্টের ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত মাইকেল হারজোগ, যুদ্ধ বিরতির জন্য ইজরায়েলের প্রস্তাবের কথা স্বীকার করেছেন। তবে চুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সংবাদংমাধ্যমকে হারজোগ বলেছেন, ‘হামাস আগে একটা যুদ্ধবিরতির চুক্তি করতে অস্বীকার করেছে। সুতরাং, নতুন করে আবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানবে কিনা এখনই বলা যাচ্ছে না। ওরা একটা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি আশা করেছিল। তবে আমার মনে হয়, আমাদের চাপে ও কাতারের চাপে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করতে হয়তো রাজি হবে।’ অবরুদ্ধ গাজায় ইজরায়েলের হামলার ২ মাস পার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গাজায় হামলা বন্ধ ও গাজাবাসীর জন্য আরও মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ দিতে ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে।
জিম্মি মুক্তির আগে হামাস যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দিচ্ছে। এর আগে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মধ্যস্থতা করেছিল কাতার ও মিশর। নভেম্বরের শেষের দিকে একসপ্তাহ যুদ্ধবিরতি ছিল। সেই সময় হামাস ৮৬ জন মহিলা ও শিশুকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ইজরায়েলের কারাগারে বন্দী ২৪০ জন ফিলিস্তিনি মুক্তি পান। হামাসের পক্ষ থেকে ২৪ জন বিদেশি জিম্মিকেও মুক্তি দেওয়া হয়।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ৭ অক্টোবর থেকে দু’মাস চলা সামরিক কর্মকাণ্ডের ফলে সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। ৫২ হাজারেরও বেশি মানু্য আহত হয়েছেন। বিমান হামলায় উত্তর গাজা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এন্ডার গাজার হাসপাতালে শিশু ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
❤ Support Us