- এই মুহূর্তে স | হ | জ | পা | ঠ
- মার্চ ২২, ২০২৪
ইসরোর পালকে নতুন মুকুট, রানওয়েতে আবার সফল অবতরণ পুষ্পকের

ইসরোর মুকুটে নতুন পালক। শুক্রবার কর্ণাটকের চাল্লাকেরের রানওয়েতে সফল অবতরণ করেছে পুষ্পক নামে পুনঃব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকেল। এটি পুষ্পকের দ্বিতীয় সফল অবতরণ। এর আগে গতবছর ২ এপ্রিল চিত্রদুর্গা অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্চে সফলভাবে অবতরণ করেছিল। সেই সময় পুষ্পককে বিমান বাহিনীর চিনুক হেলিকপ্টারের সাহায্যে আকাশে ওড়ানো হয়েছিল।
শুক্রবার সকালে চাল্লেকেরে অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জে বিমান বাহিনীর চিনুক হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পক নামে রকেটটি অবতরণ করানো হয়। ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,‘পুষ্পক নামে পাখাওয়ালা রকেটটিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর চিনুক হেলিকপ্টার দ্বারা উত্তোলন করা হয়েছিল। এরপর রানওয়ে থেকে ৪.৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ছেড়ে দেওয়ার পর পুষ্পক নিজেই রানওয়েতে অবতরণ করে। অবতরণ করার পর ব্রেক প্যারাসুট, ল্যান্ডিং গিয়ার ব্রেক এবং নোজ হুইল স্টিয়ারিং সিস্টেম ব্যবহার করে নিজে থেকেই থেমে যায়।’
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রধান এস সোমানাথ বলেছেন, পুষ্পকের পরীক্ষার ফলাফল চমৎকার ও সুনির্দিষ্ট ছিল। তবে পুষ্পককে সক্রিয়ভাবে কাজে লাগাতে আরও অনেক বছর সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ বলেন, ‘পুষ্পক লঞ্চ ভেহিকেল হল ভারতের সাহসী প্রয়াস। এটি ভারতের ভবিষ্যত পুনঃব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকেল, যেখানে সবচেয়ে ব্যয়বহুল অংশ, উপরের স্টেজ, যেখানে সমস্ত দামী ইলেকট্রনিক্স রয়েছে। এটি নিরাপদে ফিরিয়ে এনে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা হয়েছে। এটি কক্ষপথে উপগ্রহের জ্বালানিও সরবরাহ করতে পারে। ভারত মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ কমাতে চায় এবং পুষ্পকও সেই দিকে এক ধাপ এগিয়েছে।’
আরভিএল ২০১৬ সালে প্রথমবারের উত্তোলন করা হয়েছিল এবং বঙ্গোপসাগরে একটি ভার্চুয়াল রানওয়েতে সফলভাবে অবতরণ করেছিল। তবে এটি সমুদ্রে ডুবে যায় এবং আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ১০ বছর আগে এই স্পেস শাটল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ৬.৫ মিটার লম্বা এরোপ্লেনের মতো দেখতে এই লঞ্চ ভেহিকেলের ওজন ১.৭৫ টন। অবতরণের সময় ছোট থ্রাস্টারগুলি এটিকে সঠিক জায়গায় নেভিগেট করতে সহায়তা করে। এই প্রকল্পে সরকার ১০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে।
❤ Support Us