- প্রচ্ছদ রচনা স | হ | জ | পা | ঠ
- ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
নতুন বছরের শুরুতেই মিশনে এক্সপোস্যাট, এবার ইসরোর লক্ষ্য ব্ল্যাক হোল
এবছর সফলভাবে চন্দ্রযান ৩–কে চাঁদে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করেছে চন্দ্রযান ৩। সেখান থেকে ছবি, নানা তথ্যও পাঠিয়েছে। চন্দ্রযানের পর সূর্যর গবেষণার জন্য আদিত্য এল ১–কেও মহাকাশে পাঠিয়েছে। এই দুটি অভিযানের পর উচ্চাকাঙ্খা বেড়ে গেছে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। মহাবিশ্বে আরও রহস্যভেদ করার উচ্চাভিলাষী প্রচেষ্টা গ্রহন করেছে। মহাবিশ্বের সবচেয়ে কঠিন রহস্য ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে আরও তথ্য বার করতে চান ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। সেই লক্ষ্যে এক্সপোস্যাটের উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা ইসরো।
১ জানুয়ারি অর্থাৎ বছরের প্রথম দিনেই এক্সপোস্যাট উৎক্ষেপন করা হবে। এই এক্সপোস্যাট হল দেশের প্রথম এক্সরে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইট ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরে নিউট্রন স্টার নিয়ে খোঁজ–খবর করবে। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল সি ৫৮ এর সাহায্যে এই এক্সপোস্যাটকে উৎক্ষেপণ করা হবে। ১ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার সকাল ৯.১০ মিনিটে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা।
মহাশূন্যের ৫০টি বিষয়ের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণার জন্য এক্সপোস্যাটকে পাঠানো হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর, নিউট্রন স্টার, নন–থার্মাল সুপারনোভা, অ্যাকটিভ গ্যালাকটিক নিউক্লিআই প্রভৃতি। এক্স–রে ফোটন ব্যবহার করে, বিশেষ করে তাদের মেরুকরণ, এক্সপোস্যাট কাছাকাছি ব্ল্যাক হোল এবং নিউট্রন স্টার থেকে বিকিরণ অধ্যায়ন করতে সাহায্য করবে।
মুম্বইয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির জ্যোতির্পদার্থবিদ ডঃ বরুণ ভালেরাও জানিয়েছেন, ইমেজিং এক্স–রে পোলারিমেট্রি এক্সপ্লোরার নামক নাসার ২০২১ সালের মিশনের পরে এটি অত্যাধুনিক শ্রেণীর দ্বিতীয় মিশন। তিনি বলেছেন, ‘ব্ল্যাক হোল হল এমন বস্তু, যা মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এবং নিউট্রন স্টারের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। তাই এই মিশনটি মহাকাশে সাক্ষী থাকা অতি-চরম পরিবেশের রহস্য উন্মোচন করবে। মিশনটি মৃত নক্ষত্রের অবশিষ্টাংশ বা মৃতদেহের পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করবে।’ জ্যোতির্পদার্থবিদ বলেন, নিউট্রন স্টার হল ক্ষুদ্র বস্তু। যে কোনও জায়গায় ২০–৩০ কিলোমিটার ব্যাস। কিন্তু তারা এত ঘন যে একটা নিউট্রন স্টার থেকে মাত্র এক চামচ পদার্থের ওজন মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে বেশি হতে পারে।
এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় অন্যতম মাইলস্টোন হতে চলেছে। যদি এই প্রয়াস সফল হয়, তাহলে ইসরো মহাকাশ গবেষণার দুনিয়ায় দারুণ সাফল্য নিয়ে আসবে। এই নতুন মিশনের স্থায়ীত্ব ৫ বছর। এক্সপোস্যাট পৃথিবীর কক্ষপথের ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটারের অবস্থানে থাকবে। মিশনটি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলকে তার ৬০ তম ফ্লাইটটি উৎক্ষেপন করবে। ৪৬৯ কেজি ওজনের এক্সপোস্যাট বহন করার পাশাপাশি ৪৪ মিটার লম্বা, ২৬০ টন রকেটটি ১০ টি পরীক্ষা–নিরীক্ষার মাধ্যমে উত্তোলন করবে।
❤ Support Us