- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ১২, ২০২৩
ইসি-র বৈঠকে নাগাড়ে পডুয়াদের স্লোগান, যাদবপুরে ধরনায় উপাচার্য-ডিন-রেজিস্ট্রার

এতোদিন দেখা যেত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কথায় কথায় প্রতিবাদ, ধরনায় বসছেন। এবার ঠিক তার উল্টো ছবি। ছাত্রদের হাতে “অপমান ও হেনস্থার” প্রতিবাদে এবার ধরনায় বসলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-সহ কর্মসমিতি বা ইসি-র কয়েকজন সদস্য, রেজিস্ট্রার। বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে এই ধরনা। এর আগে পড়ুয়াদের ধরনা আন্দোলনে দেখগেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কিন্তু এই ভাবে উপচার্য-সহ শিক্ষকরা ধরনায় বসেছেন, এই ছবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কার্যত নজিরবিহীন বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত অধ্যাপকরা।
তবে দায়িত্ব নেওয়ার দেড়মাসের মাথাতেই বীতশ্রদ্ধ যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য। লাগাতার ছাত্র আন্দোলনে বীতশ্রদ্ধ অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেছিলেন, ‘অন্যায্য দাবি করছেন পড়ুয়ারা, আমার পদত্যাগ চাইছে। আমিও র্যাগিং-এর শিকার, কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দিচ্ছে না। এর পিছনে বড় মাথা আছে, ছাত্রদের সর্বনাশ করছে। যাদবপুরের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চাই। চাপ নিতে না পেরে ডিন অফ স্টুডেন্টস হাসপাতালে ভর্তি। অন্যায্য দাবিগুলোকে পড়ুয়ারা গণপয়েন্টে রেখে করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।এসব চলতে পারে না।”
গত ২৪ সেপ্টেম্বর কর্মসমিতির বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। পরে এই আলোচনা কবে হবে তা জানাননি অস্থায়ী উপাচার্য। বুধবার দুপুরে হঠাৎই কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু বৈঠক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্লোগান দিতে থাকেন পডুয়ারা। ক্রমাগত চলতেই থাকে তাদের স্লোগান। এর পর ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেন অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য এবং ইসির কয়েকজন সদস্য। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন অফ সাইন্স এবং আরও বেশ কয়েক জন ডিন।
বুদ্ধদেব সাউয়ের দাবি, ইসি চলাকালীন টানা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ধরে তাঁদের ছাত্র নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এই ধর্নায় বসেন তাঁরা। সারারাত তাঁরা ধরনায় থাকেন অরবিন্দ ভবনের গাড়ি বারান্দার সামনে। বিষয়টি অস্থায়ী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সি ভি আনন্দ বোসকে জানান বলেও জানা গেছে।
ধর্নায় বসা আন্দোনকারীদের অভিযোগ, পড়ুয়াদের একাংশ ইসি-র মিটিং বানচাল করে দিচ্ছে। ফলে, র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তও নেওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে তাঁদের এই ‘সত্যাগ্রহ’।
❤ Support Us