Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মে ২২, ২০২৩

প্রসঙ্গ অভিষেকের গ্রেফতারি, শুভেন্দুর বিজেপি যোগের অপ্রকাশিত কাহিনী জয়প্রকাশের মুখে।মদন সম্পর্কে কুণাল, উনি রঙিন মানুষ, দলে আছেন, থাকবেন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
প্রসঙ্গ অভিষেকের গ্রেফতারি, শুভেন্দুর বিজেপি যোগের অপ্রকাশিত কাহিনী জয়প্রকাশের মুখে।মদন সম্পর্কে কুণাল, উনি রঙিন মানুষ, দলে আছেন, থাকবেন

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতারি এড়াতে কি সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছেন? এই প্রশ্ন সাংবাদিকদের মুখে শুনে সযত্নে এড়িয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার ও কুণাল ঘোষ। জয়প্রকাশ মজুমদার বললেন, “সুপ্রিম কোর্টে এখন গ্রীষ্মাবকাশ শুরু হয়েছে। তাই অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে শুক্রবার। এর মধ্যে আপনারা এসব ধাক্কা খেলো রাজ্য, গ্রেফতারি এড়াতে এসব কথা কোথায় পাচ্ছেন?” আর কুণাল ঘোষ বললেন, “আদালতের, আইজীবীদের কিছু পরিভাষা থাকে। তাঁরা সেই বিষয় কথা বলেছেন। আমরা এর মধ্যে যাচ্ছি না। বিষয়টা আদালতে দলের হয়ে আইনজীবীরা দেখছেন।”

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের আইনজীবীরা তাঁদের আবেদনে উল্লেখ করেছেন, কোনও “কঠিন পদক্ষেপ” যেন অভিষেকের বিরুদ্ধে না নেওয়া হয়। এই “কঠিন পদক্ষেপ” কি গ্রেফতারি? তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিকে যোগ দেওয়া নিয়ে ২০২০-র নভেম্বরের সেই যোগদান পর্বের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তৎকালীন বিজেপি নেতা বর্তমানে তৃণমূল নেতা ও মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “অমিত শাহের সঙ্গে ৫ নভেম্বর, ২০২০ তারিখে পাঁচতারা হোটেলে ফাইনাল এগ্রিমেন্ট সাইন এন্ড সিল হয় যে নারদ-সারদা-ইডি -সিবিআই থেকে তাঁকে মুক্ত করে দেওয়া হবে পিছনের দরজা দিয়ে, তারা কিছু করবে না। তার পরবর্তী ক্ষেত্রে ২৭ নভেম্বর ২০২০ তে মন্ত্রিসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা। তার পরে ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন। তারপর মেদিনীপুর কলেজের মাঠে ১৯ ডিসেম্বর ২০২০। এই হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের ইতিহাস। আমি তখন বিজেপিতে আর সেই সুবাদে অমিত শাহের ওই পাঁচতারা হোটেলের বৈঠকে সৌভাগ্যক্রমে আমিও হাজির ছিলাম। এর পর আমরা দেখছি সারদা, নারদাতে শুভেন্দুর নাম থাকা সত্ত্বেও , অনেক ফাইল জোগাড় হয়ে যাওয়ার পরেও , অকাট্য প্রমাণ জোগাড় হওয়ার পরেও তাঁকে সম্পূর্ণ ছেড়ে দেওয়া হল।”

জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রশ্ন, “শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকার পরেও কেন তাহলে ইডি, সিবিআই নীরব? তারা কি ভেবেছে সারা জীবন তাদের মাথার উপর বিজেপির হাত থাকবে? সরকার বদল হলে এই ফাইল থাকবে। তখন শুভেন্দু কি রেহাই পাবেন? তাহলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ থাকার পরেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন তাঁকে হেফাজতে না নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার নামে ডেকে  হেনস্থা করছে?”  এই ইস্যুতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। কুণাল ঘোষ বলেন,”কাঁথি পুরসভায় সুদীপ্ত সেনের টাকা আছে কি নেই আজ বা কাল সেটা প্রমাণ করা হবে। শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা সাধু বাকি সবাই চোর? আজ যদি আমাদের ব্ল্যাক আউট করেন কাল শিরোনামে আসবই। শুভেন্দু সারদা, নারদাতে ফেঁসে মেরুদন্ড বিক্রি করে বিজেপিতে গেছে। অভিষেক নাগরিক হিসেবে উচ্চতর আদালতে আবেদন করতেই পারেন, এতে ভয়ের কি আছে? উচ্চতর আদালতে সবার যাওয়ার অধিকার আছে।”

এদিকে মদন মিত্র সোমবার বলেছেন, “আমার আলজাইমার রোগ আছে। আমি সব ভুলে যাই। আমি কাল কি বলেছি? আমি এবার রাজনীতি থেকে অবসর নেবো।”

এই নিয়ে কুণাল ঘোষকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি তাঁদের বলেন, “আচ্ছা, মদনদাকে নিয়ে আজ এককথা লিখে পরের দিন আবার অন্য কথা লিখতে ইচ্ছে করে? মদন মিত্র হলেন এক রঙিন মানুষ। মদন মিত্র রাজনীতিতে ছিলেন, থাকবেন।এটা ওনার জীবনদর্শনের ব্যাপার। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড অনেক বড়, ওনার ইচ্ছা হতে পারে দূরের কোনও গ্রহ বা কোথাও ছুটি কাটাতে যাবেন। মদন মিত্র একটা কালারফুল ব্যাপার। ফলে, আজ দেখাবেন দলের প্রতি বেলাগাম, পরের দিন দেখাবেন দলের প্রতি লাগাম, পরের দিন দেখবেন মমতাকে খোঁচা, তার পরদিন বলতে হবে মমতাই আমার নেত্রী, মদন মিত্র দলে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। মদনদা বিজেপির সুভ্রমণ্যম স্বামীর মতো।” এই সময় কুণাল ঘোষকে সাংবাদিকরা বলেন আপনি বলছেন মদন মিত্র বিজেপির সুভ্রমণ্যম স্বামী ? কুণাল ঘোষ বলেন, “এটাই আপনাদের সমস্যা।আমি বলিনি, আমি একবারও বলিনি। ওদের একজন আছে না, বলে আবার পরে পরিবর্তন করে তিনি বলেন, মদনদা দলের দীর্ঘদিনের নেতা। কোনও টেকনিক্যাল বিষয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। মদনদা আজও দলের অঙ্গ।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!