শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
ঘোরতর বিপর্যয়ের সম্মুখীন যোশীমঠ। মাটি সরে যাওয়ায় ধীরে ধীরে বসে যাচ্ছে গোটা শহর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য প্রশাসন।
বসুন্ধরার গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে গাড়োয়াল হিমালয়ের ‘পবিত্র’ জনপদ যোশীমঠ। বহু বাড়িঘরে এবং রাস্তায় দেখা দিচ্ছে ফাটল। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। কিন্তু শুক্রবার বিকেল থেকে ফাটলের মুখ আরও বড় হতে থাকায় এবং স্থানীয় মন্দির ভেঙ্গে পড়ায় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পরেন।পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে শহরে বসবাসকারীদের উদ্ধার করে খুব তাড়াতাড়ি অন্য কোনো নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠাবার জন্য প্রশাসন হেলিকপটার নিয়ে আসে।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পুস্কল সিং ধামি জানিয়েছেন যে মানুষের জীবন রক্ষা করা এখন তাঁদের প্রাথমিক কর্তব্য। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য দীর্ঘ মেয়াদি ও স্বল্প মেয়াদি উভয় ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিপর্যস্ত এলাকাগুলি ঘুরে এসে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও জোশীমঠ নিয়ে জরুরি পর্যালোচনা বৈঠকের ডাক দেন তিনি। সেখানেই হেলিকপ্টারে চাপিয়ে মানুষকে অন্য আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৬০০ পরিবারকে যাতে দ্রুত স্থানান্তরিত করা হয় সে ব্যাপারে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনকে। শনিবার আবারও তিনি আসতে চলেছেন যোশীমঠে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ঘুরে দেখবেন সমগ্র শহরের বর্তমান পরিস্থিতি। কথা বলবেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে সমস্ত বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে সেই পরিবারগুলোকে আগামী ৬ মাস ৪০০০টাকা করে দেওয়া হবে তাঁর ত্রাণ তহবিল থেকে। উল্লেখ্য, ৫৫০ এর বেশি বাড়িতে মাটি বসে যাওয়ার কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে জানাচ্ছে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
চামোলি জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে বিপন্ন মানুষদের জন্য ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করেছেন। সেখানে জরুরী চিকিৎসা পরিষেবাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। স্থানীয় সংবাদ সূত্রে খবর, মাটি বসে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে। মানুষের বাসস্থান, অন্যান্য ভবন, রাস্তাঘাট , নদীর গতিপথ ইত্যাদির ওপর এই দুর্যোগের কেমন প্রভাব পড়তে পারে তার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক।
কেন এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়? তাঁর জন্য বহু স্থানীয় মানুষ দায়ী করেছেন উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ ও জলবায়ু পরিবর্তনকে। বিশেষত তারা স্থানীয় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে দায়ী করেছেন এই ফাটল ধরার জন্য। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য ৫০ বছরের পুরনো মিশ্র কমিটির রিপোর্টকে সামনে এনে প্রাকৃতিক ও মানুষের কর্মকাণ্ডকেই দায়ী করেছেন মাটি বসে যাওয়ার জন্য। তাঁদের মতে, হিমালয়ের ধস প্রবণ এলাকায় গড়ে উঠেছে এই জোশীমঠ শহর। ধস রুখতে বড়সড় নির্মাণকার্য বন্ধ রাখা, বোল্ডার না সরানো গাছ না কাটা ইত্যাদি সুপারিশ যদি না মানা হয় তাহলে জোশীমঠের স্থায়ীত্ব বড় জোর একশ বছর।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34