জামিনের আবেদন করলেন না। জেলেই হোক চিকিৎসা, আদালতে জানালেন পার্থ

বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে পার্থকে আদালতের লক আপে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর আইনজীবী মারফৎ বিচারকের কাছে পার্থ আবেদন করেন, তাঁর দুই পা ফুলেছে গিয়েছে।  সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় এজলাসে তিনি যেতে পারবেন না। পার্থর বয়সের কথা মাথায় রেখে পার্থর আবেদন মঞ্জুর করেন বিচাকর। এর পর বিচারপতি কোর্ট অফিসারকে বিচারক প্রশ্ন করেন পার্থকে কোর্ট লক আপ থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা সম্ভব কি না। কোর্ট অফিসার বলেন, লক আপের ইন্টারনেট সংযোগের স্পিড খুব কম। তাই সমস্যা হতে পারে। এর পর ভিডিয়ো কলে পার্থকে এজলাসে হাজির করানো হয়।

বিচারককে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তাঁর পায়ে জল জমছে। পা ফুলে গিয়েছে। হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে। আমার ঠিক করে ফিজিওথেরাপি করানো দরকার। তাছাড়া কিডনির সমস্যার সমাধানের জন্য ভালো চিকিৎসা দরকার। তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, তিনি কি জেলের বাইরে চিকিৎসা করাতে চাইছেন। পার্থ বলেন, না জেলে চিকিৎসা হলেও তাঁর আপত্তি নেই। এদিনও জামিনের আবেদন করেননি পার্থ,তাঁকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

আইনজীবীরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টকে ৬ মাসের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি শেষ করতে বলার পরে নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করে কোনও লাভ নেই, সেটা জানেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা। তবে পার্থ কেন জেলেই চিকিৎসা করাতে চাইলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কেউ কেউ বলছেন, এসএসকেএম হাসপাতালে কোনও বন্দি ভর্তি হলেই তাঁকে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পার্থ সেই প্রভাবশালী তকমা চান না বলেই হাসপাতালেই চিকিৎসা করতে চেয়েছেন। এদিন আদালতে পার্থ নিজেও বলেছেন, তিনি প্রভাবশালী নয়।