- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
অবস্থান বিক্ষোভ অব্যাহত জুনিয়র চিকিৎসকদের

আর জি কর কাণ্ড নিয়ে আগে লালবাজার অভিযান করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাতভর ধর্নায় বসেছিলেন। অবশেষে জুনিয়র চিকিৎসকদের চাপে পড়ে ডেপুটেশন নিতে বাধ্য হয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। লালবাজারের এবার স্বাস্থ্যভবন অভিযান করছেন ডুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে শুরু হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভ। রাত গড়িয়ে সকাল, তবুও অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। অবস্থান বিক্ষোভ অব্যাহত।
আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তাঁদের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালাবেন। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনায় বসার জন্য ই–মেলে বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, চিঠিতে তাঁদের দাবি–দাওয়া সম্পর্কে কোনও উচ্চবাক্য করা হয়নি। বরং তাঁদের অপমান করা হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদত্যাগ দাবি করছিলেন। অথচ আলোচনায় বসার জন্য দাঁদের ই–মেল করেছেন স্বাস্থ্যসচিব। এটা ‘অপমানজনক’ মনে হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাই বৈঠকে না গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার রাতেই আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগ দেন নির্যাতিতার বাবা–মা।
জুনিয়র চিকিৎসকদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘সবাই যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, বিচারের দাবিতে লড়ছেন, আশা করছি বিচার আমরা পাবই।’ শুধু নির্যাতিতার পরিবার নয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বহু সিনিয়র চিকিৎসক। সাধারণ মানুষও খাবার–দাবার, জল নিয়ে এসে সাহায্য করছেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি মানা না হলে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।
স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম মঙ্গলবার বিকেলে জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। ইমেলে বলা হয়েছিল, তাঁরা যেন নবান্নে ১০ জন প্রতিনিধি পাঠান। কিন্তু স্বাস্থ্য সচিবের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সন্ধে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নবান্নে অপেক্ষা করে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও স্বাস্থ্য সচিবের ই–মেলে কোথাও পরিষ্কার করে বলা ছিল না যে, মুখ্যমন্ত্রীই জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ চেয়ে তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। আবার সেই স্বাস্থ্য সচিবই তাঁদের চিঠি দিয়েছেন। এতে তাঁদের অপমান করা হয়েছে। নবান্ন থেকে কোনও চিঠি আসেনি। সরকার সুসংহত ভাবে প্রস্তাব দিলে বিবেচনা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পর্যবেক্ষকমহল মনে করছে, জুনিয়র চিকিৎসকরা যদি স্বাস্থ্য সচিবের ইস্তফার দাবিতে অনড় থাকেন তাহলে সমাধানের পথ বার করা কঠিন হবে। মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা চাইলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ অচলাবস্থা জিইয়ে রাখতে চাইছে।
❤ Support Us