- প্রচ্ছদ রচনা
- নভেম্বর ৯, ২০২২
ভারতের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়

ভারতের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। উদয় উমেশ ললিতের স্থলাভিষিক্ত হলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি ২ বছরের জন্য দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলাবেন। এর আগে মাত্র ৭৪ দিনের জন্য দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন উদয় উমেশ ললিত। তিনিই বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিজের উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করেন।
ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বাবা ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ও একসময় দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলেছিলেন। প্রয়াত ওয়াইভি চন্দ্রচূড় টানা ৭ বছর দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তাঁর মতো কোনও বিচারপতি এত দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেননি।
সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হন। স্নাতকোত্তর পাশ করেন আমেরিকার হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে। সেখান থেকেই তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। আমেরিকায় পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে এসে ওকালতি শুরু করে। একসময় মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাংবিধানিক আইনের অতিথি অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেন।
১৯৯৮ সালে বোম্বে হাইকোর্টে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। বোম্বে হাইকোর্টে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের দায়িত্বও সামলেছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তারপর বোম্বে হাইকোর্টে বিচারপতির দায়িত্ব পান। পরে তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও হয়েছিলেন।
২০১৬ সালের ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।। তিনি অযোধ্যা জমি বিরোধ এবং গোপনীয়তার অধিকার সহ বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক বেঞ্চ এবং যুগান্তকারী রায়ের অংশ ছিলেন। পাশাপাশি ৩৭৭ ধারা, আধার প্রকল্পের বৈধতা, সবরিমালা ইস্যু নিয়ে মামলার গুরুত্বপূর্ণ রায় দেন তিনি। করোনা মহামারীর সময় তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছিলেন। তিনি উদারপন্থী ও প্রগতিশীল মানসিকতার বিচারপতি হিসেবে পরিচিত।
❤ Support Us