- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
সুপার কাপের ডার্বি ইস্টবেঙ্গল–মোহনবাগানের কাছে সেমিফাইনাল

সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে বিদেশিহীন হায়দরাবাদ এফসি–র বিরুদ্ধে ৩–২ ব্যবধানে জিতে সুপার কাপ অভিযান শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার শ্রীনিধি এফসি–র বিরুদ্ধেও জয় তুলে নিল লালহলুদ ব্রিগেড। জিতল ২–১ ব্যবধানে। ইস্টবেঙ্গল মাঠে নামার আগে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। সবুজমেরুণ ব্রিগেড জেতে ২–১ ব্যবধানে। মোহনবাগানও পরপর দুটি ম্যাচ জেতায় ১৯ জানুয়ারি গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ দুই দলের কাছে হয়ে দাঁড়াল মরণবাঁচনের লড়াই। তবে ইস্টবেঙ্গলের কিছুটা সুবিধা রয়েছে। ড্র করলেই সেমিফাইনালে চলে যাবে লালহলুদ ব্রিগেড। অন্যদিকে, মোহনবাগানের সামনে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই।
রবিবার ইস্টবেঙ্গলের আগে হায়দরাবাদ এফসি–র বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। ম্যাচের ৮৭ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় সবুজমেরুণ ব্রিগেড। শুরুতেই গোল খেলে পিছিয়ে পড়েছিল মোহনবাগান। ম্যাচের ৭ মিনিটে গোলকিপার আর্শ ও ডিফেন্ডার হামিলের ভুল বোঝাবুঝিতে গোল করে হায়দরাবাদ এফসি–কে এগিয়ে দেন চুঙ্গা। প্রথমার্ধের শেষদিকে চুঙ্গারই একটা শট উড়ে গিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান আর্শ। না হলে প্রথমার্ধেই ২–০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ত মোহনবাগান।
পিছিয়ে পড়ে সম্বিত ফেরে মোহনবাগান ফুটবলারদের। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু তিনকাঠি ভেদ করতে পারছিলেন না জেসন কামিংস, পেত্রাতোস, বুমোসরা। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন হায়দরাবাদের সেরা ডিফেন্ডার নিম দোরজি। বিপক্ষ ১০ জন হয়ে যেতেই আক্রমণে আরও গতি বাড়ায় মোহনবাগান। অবশেষে ৮৭ মিনিটে জেরেমির আত্মঘাতী গোলে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। ম্যাচের ৯০ মিনিটে হুগো বুমোসকে বক্সের মধ্যে ফাউল মার্ক জো ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জয় এনে দেন পেত্রাতোস।
মোহনবাগান–হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচের ফল জেনেই শ্রীনিধি এফসি–র বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে গেলে জেতাটা জরুরি ছিল লালহলুদের। তাই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। প্রথম একাদশে ৬ বিদেশিকেই রেখেছিলেন লালহলুদ কোচ। আক্রমণে ঝড় তুলে ম্যাচের ১২ মিনিটে হিজাজির গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৩২ মিনিটে ২–০ করেন সিভেরিও। তাঁর শট শ্রীনিধির এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইস্টবেঙ্গলের দাপট ছিল। ৮৭ মিনিটে তৃতীয় গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল লালহলুদ। হিজাজির হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৯০ মিনিটের মাথায় অজয় ছেত্রীর ভুলে পেনাল্টি পায় শ্রীনিধি। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান উইলিয়াম। শেষ পর্যন্ত ২–১ ব্যবধানে জেতে ইস্টবেঙ্গল। গ্রুপে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের পয়েন্ট ৬। গোল পার্থক্যও সমান। তবে বেশি গোল দিয়ে ইস্টবেঙ্গল কিছুটা এগিয়ে। ১৯ জানুয়ারি ডার্বি ড্র হলে ইস্টবেঙ্গল পৌঁছে যাবে সেমিফাইনালে। মোহনবাগানকে জিততেই হবে।
❤ Support Us