Advertisement
  • এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • জানুয়ারি ১৮, ২০২৪

সুপার কাপের ডার্বিতে মোহনবাগানের তুলনায় ইস্টবেঙ্গলের চাপ বেশি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সুপার কাপের ডার্বিতে মোহনবাগানের তুলনায় ইস্টবেঙ্গলের চাপ বেশি

রাত পোহালেই আবার কলকাতা ডার্বি। কলিঙ্গ সুপার কাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। তবে এই ডার্বি কলকাতা শহরে হচ্ছে না। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে লালহলুদ–সবুজমেরুণের লড়াই। কলকাতার বাইরে হলেও ডার্বি নিয়ে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। ইতিমধ্যেই শয়ে শয়ে সমর্থক হাজির ভুবনেশ্বরে। শুক্রবার সকালেও হাজার হাজার সমর্থক কলকাতা থেকে পাড়ি দেবে ভুবনেশ্বরে।
সমর্থকদের মতো দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যেও ডার্বি নিয়ে দারুণ উত্তেজনা। এই নিয়ে মরশুমে তৃতীয়বার মুখোমুখি হতে চলেছে দুই দল। ডুরান্ড কাপে ২ বার মুখোমুখি হয়েছিল। লিগ পর্বের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল জিতেছিল। ফাইনালে বাজিমাত করেছিল ইস্টবেঙ্গল। মরশুমের ওই দুই প্রথম ডার্বির তুলনায় শুক্রবারের ম্যাচের আকাশপাতাল তফাৎ। দুই দলের শক্তিতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তাছাড়া মরশুমের শুরুতে দুই দল নিজেদের সেভাবে গুছিয়ে নিতে পারেনি। এবার তৈরি হয়েই মাঠে নামছে।
জাতীয় দলের হয়ে খেলতে ব্যস্ত থাকায় ৭ জন ফুটবলারকে পাচ্ছে না মোহনবাগান। এই জায়গায় ইস্টবেঙ্গলের কিছুটা সুবিধা। কারণ, তাদের মাত্র ২ জন ফুটবলার জাতীয় দলে। যদিও শক্তির বিচারে দুই দলের খুব বেশি পার্থক্য নেই। তবে এই ফুটবলার না থাকাটা কিছুটা হলেও অসুবিধায় ফেলবে মোহনবাগানকে। ডার্বি সময়ই পঞ্চাশ–পঞ্চাশ। যে দল চাপ নিতে পারবে, তাদের জেতার সম্ভাবনাই বেশি।
মোহনবাগানের তুলনায় ইস্টবেঙ্গলের ওপর চাপ বেশি। কারণ, লিগ টেবিলে শীর্ষে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পয়েন্টের বিচারে, গোল পার্থক্যে দুই দল একই বিন্দুতে থাকলেও বেশি গোল দেওয়ার জন্য এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। ড্র করলেই সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে লালহলুদ ব্রিগেড। অন্যদিকে, সেমিফাইনালে যেতে গেলে মোহনবাগানের সামনে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই। ফলে চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামবে সবুজমেরুণ ব্রিগেড।
ডার্বিতে রক্ষণ নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে দুই দলকে। মরশুমের শুরু থেকেই দুই দলকে রক্ষণ ভোগাচ্ছে। আইএস এলে, সুপার কাপেও গোল হজম করতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান রক্ষণকে। যদিও হিজাজি আসার পর ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের কিছুটা হাল ফিরেছে। দলকে ভরসা দিয়েছেন। তবে রক্ষণের বাঁদিকটা নিয়ে সমস্যা থেকেই গেছে। ডিফেন্সিভ মিডিও হিসেবে শৌভিক চক্রবর্তীকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। মেহনবাগান মাঝমাঠে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। সেই তুললায় ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠ অনেক সঙ্ঘবদ্ধ।
আক্রমণভাগে মোহনবাগান কিছুটা হলেও ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। সবুজমেরুণ আক্রমণভাগে রয়েছে হুগো বুমোস, জেসন কামিংস, আর্মান্দো সাদিকু, দিমিত্রি পেত্রাতোসের মতো বিদেশি ফুটবলাররা। প্রত্যেকেরই গোল করার দক্ষতা রয়েছে। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের ভরসা ক্লেইটন সিলভা। তবে ইস্টবেঙ্গলের প্লাস পয়েন্ট কার্লেস কুয়াদ্রাতের মতো কোচ রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা। মোহনবাগান কোচ আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস এসে গেলেও তিনি রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে পারবেন না। সহকারি কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডাই দায়িত্ব সামলাবেন।


  • Tags:
❤ Support Us
Advertisement
error: Content is protected !!