Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • জানুয়ারি ২৯, ২০২৪

কলিঙ্গ স্টেডিয়ামেই শাপমোচন, ওডিশাকে হারিয়ে সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কলিঙ্গ স্টেডিয়ামেই শাপমোচন, ওডিশাকে হারিয়ে সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল

২০১৮ সালে বেঙ্গালুরু এফসি–র কাছে হেরে সুপার কাপ জেতার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। ৬ বছর পর সেই কলিঙ্গ স্টেডিয়ামেই শাপমোচন লাল–হলুদ ব্রিগেডের। নাটকীয় ফাইনালে ওডিশা এফসি–কে ৩–২ ব্যবধানে হারিয়ে সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল। ১২ বছর পর কোনও সর্বভারতীয় ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল তিনটি করেন নন্দ কুমার, সল ক্রেসপো ও ক্লেইটন সিলভা। ওডিশার গোল দুটি দিয়েগো মরিসিও এবং আহমেদ জাহুর। দলকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে আলাদা কৃতিত্ব দিতে হবে।

 

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইস্টবেঙ্গলকে বদলে দিয়েছেন কুয়াদ্রাত। ফুটবলারদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন। মরশুমের শুরুতেই ভাঙাচোরা দলকে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে তুলে সমর্থকদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। তারই ফল পেলেন সুপার কাপে। প্রথম থেকে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল।

 

ধারেভারে ওডিশা এফসি ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। তার ওপর নিজেদের ঘরে মাঠে খেলা। এছাড়া গতবারের চ্যাম্পিয়ন। খেতাব ধরে রাখার লক্ষ্যে ঝাঁপাবে ওডিশা। এটা বিলক্ষণ জানতেন কুয়াদ্রাত। তাই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। বিপক্ষের মাঝমাঠের স্তম্ভ আহমেদ জাহুকে আটকাতে সৌভিককে দায়িত্ব দিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। সফল এই বঙ্গ মিডফিল্ডার।

 

ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের মাঝে প্রথম সুযোগ অবশ্য এসেছিল ওডিশার সামনে। ১২ মিনিটে রয় কৃষ্ণা শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মিনিট তিনেক পর আবার সুযোগ এসেছিল ওডিশার সামনে। এবার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মরিসিও। ৩২ মিনিটে পাড্রোর দুরন্ত ফ্রিকিক বাঁচান ওডিশা গোলকিপার রালতে। ৩৯ মিনিটে এগিয়ে যায় ওডিশা। বোরহার ভুলে বল পান মরিসিও। ডানপায়ের জোরালো শটে গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধে খেলার ফল থাকে ১–০।

দ্বিতীয়ীর্ধের শুরুতেই দুটি পরিবর্তন করেন কুয়াদ্রাত। মাঠে নিয়ে আসেন লালচুংনুঙ্গা ও মহেশ সিংকে। মহেশ নামায় আক্রমণে গতি বাড়ে। ৫২ মিনিটে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। মহেশ বল নিয়ে দ্রুত গতিতে ঢুকে পড়ে নন্দ কুমারকে বল বাড়ান। ঠান্ডা মাথায় ওডিশা গোলকিপারকে কাটিয়ে সমতা ফেরান নন্দ কুমার। ৫৯ মিনিটে নন্দকুমারকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হলেও রেফারি পেনাল্টি দেননি। ৬২ মিনিটে বোরহাকে ফাউল করেন মোর্তাদা ফল। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ২–‌‌১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ক্রেসপো।

 

এরপরই বড় ধাক্কা খায় ওডিশা। ৬৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মোর্তাদা ফল। ম্যাচে ফেরার কাজ কঠিন হয়ে যায় ওড়িশার কাছে। কিন্তু হাল ছাড়েনি। মরিয়া হয়ে আক্রমণে গতি বাড়ায়। সুফলও মেলে। ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে বক্সের মাঝে মরিসিওকে ফাউল করেন গোলকিপার প্রভসুখন গিল। পেনাল্টি পায় ওড়িশা। পেনাল্টি থেকে ২–‌‌২ করেন আহমেদ জাহু। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়েও ইস্টবেঙ্গল দাপট দেখাতে থাকে। সৌভিকের একটা শট বারে লেগে ফিরে আসে। এরপরই লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সৌভিক। অতিরিক্ত সময়ে ১১১ মিনিটের মাথায় ওড়িশা গোলকিপার মাউইয়া ও ডিফেন্ডার নরেন্দারের ভুলে বল বক্সের মধ্যে বল পান ক্লেইটন। ডানপায়ের কোনাকুনি শটে গোল করে দলকে সুপার কাপ এনে দেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

 

 

ইস্টবেঙ্গলও দশজন হয়ে যায়। তবে ওস্তাদের মার শেষ রাতে ইস্টবেঙ্গলের ক্লেইটনের জয়সূচক গোলে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!