- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
ধনকড়কে মিমিক্রি, দলের রোষে কল্যাণ। প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতের প্রতিনিধি তালিকায় শেষ মুহূর্তে নাম বাদ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দলের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বাদ দেওয়া হল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রতিনিধি দলের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে তৃণমূল সূত্রে যা জানা গিয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে, উপরাষ্ট্রপতিকে মিমিক্রি করার জন্যই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোদির কাছে নিয়ে যাননি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নাম যে প্রতিনিধি দলের থেকে বাদ গিয়েছে সেটা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন না বলেও তৃণমূল সূত্রের খবর। সংসদের বাইরে এসে তিনি জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার জন্য যে সাংসদদের নাম তালিকায় ছিল সেই তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুধবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে তৃণমূল সংসদীয় দলের পক্ষে ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন। আমি কাউকে অসম্মান করিনি।”
বুধবার সংসদ চত্বরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী উপরাষ্ট্রপতিকে ফোন করে তাঁকে মিমিক্রি করার বিষয়ে বলেছেন, তিনিও কুড়ি বছর ধরে এসব সহ্য করেছেন। উত্তরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি কাউকে অপমান করার জন্য কিছু বলিনি। উপরাষ্ট্রপতি ও আমি পেশায় এক। তিনি এর আগে রাজ্যপাল ছিলেন, এখন উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। মিমিক্রি করাটা অপমান করা নয়। এটা চলে। প্রথানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ বছর আগের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন কেন? ২০১৪ থেকে ২০১৯-এর মধ্যেকার সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সংসদে মিমিক্রি করেছেন। উপরাষ্ট্রপতি সবটা নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন কেন?”
তবে কল্যাণের আচরণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর চাইতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বেশি চটেছেন সেটা তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে। এমনিতেই কল্যাণ-অভিষেক সম্পর্ক অহিনকুল। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে কল্যাণের উপরাষ্ট্রপতিকে সংসদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে মিমিক্রি করার বিষয়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুনজরে নেননি। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনা নিয়ে ফোন করে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে সমবেদনা জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কল্যাণকে নিয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রীর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলেই কল্যাণকে প্রতিনধ দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে।
❤ Support Us