Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মে ২০, ২০২৪

মমতার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ ভারত সেবাশ্রমের অধ্যক্ষের। আড়ালে উসকানি নয়, রাজনীতি করলে সরাসরি করুন, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। সাধু নন কার্তিক মহারাজ, মন্তব্য অধীরের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মমতার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ ভারত সেবাশ্রমের অধ্যক্ষের। আড়ালে উসকানি নয়, রাজনীতি করলে সরাসরি করুন, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। সাধু নন কার্তিক মহারাজ, মন্তব্য অধীরের

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার আইনি নোটিশ পাঠালেন বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ। নোটিশে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সম্মানহানি হয়েছে।৪ দিনের মধ্যে যদি তৃণমূল নেত্রী ক্ষমা না চান,তাহলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে তাঁর বিরূদ্ধে।
এরপরই আজ বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের হয়ে নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি রামকৃষ্ণ মিশনর বিরুদ্ধে কেন হব? এই তো সেদিনও এক মহারাজ অসুস্থ হয়েছিলেন। আমি গিয়েছি। ওঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল। বিবেকানন্দের বাড়ি আমি রক্ষা করেছি। সারদা মায়ের বাড়ি আমি রক্ষা করেছি। ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি আমি বাঁচিয়েছি। কিন্তু সবাই এক রকম নয়। আমি সেটাই বলেছি। আমি সেই কয়েক জনের কথাই বলেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে নই। আমি কেবল দু’এক জনের কথা বলেছি। তার মধ্যে এক জন হল ওই কার্তিক মহারাজ। আমি ওঁর কথা বলেছি। কারণ আমি খবর পেয়েছি উনি তৃণমূলের এজেন্টদের বসতে দেন না। এলাকায় ধর্মের নামে বিজেপি করে বেড়ান। উনি ছানার ব্যবসায়ীদের উস্কাচ্ছেন। সব খবর আসে আমার কাছে। উনি রাজনীতি করতেই পারেন, আমার তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু আমি বলব বুকে পদ্ম ফুলটা লাগিয়ে রাজনীতি করুন। এ ভাবে আড়ালে থেকে নয়।’
গোঘাটে সেখানে নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, রামকৃষ্ণ মিশন ও ইস্কনের বিরুদ্ধে কিছু ‘বিতর্কিত মন্তব্য ‘ করেন। তাঁর মন্তব্যের মূল তির ছিল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান কার্তিক মহারাজ।
এদিকে এইসব বিতর্কের মাঝে কার্তিক মহারাজ দাবি করেন তৃণমূল তাঁকে নির্বাচনে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেয়।কিন্ত তিনি রাজি হননি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে, তাঁর অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও ভ্রান্ত’ বলে ‘তিনি বলেন, ‘উনি প্রমাণ দিন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসীরা কোথায় গোলমাল করেন! আমি পদত্যাগ করব।আর্তের সেবা করা আমার কাজ। আমি একজন হিন্দু। আর হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না। রেজিনগরে ওনার দলের বিধায়ক যখন বলেন ২ ঘন্টার মধ্যে হিন্দুদের ভাগিরথীতে ভাসিয়ে দেব,তখন উনি কোনও প্রতিবাদ করেননি কেন?ঈশ্বর ওনাকে চৈতন্য দিন।
কার্তিক মহারাজকে নিয়ে উত্থাপিত বিতর্ক প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী বলেন, কার্তিক মহারাজের চরিত্র মোটেই সাধুসন্ত সুলভ নয়। তাঁর পরিচিতি নিয়ে এখানে বহু মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে এলাকায় তাঁর পরিচিতি আছে

  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!