Advertisement
  • দে । শ
  • নভেম্বর ১, ২০২৪

একদিনেই প্রতিমা গড়ে আরাধনা এবং বিসর্জন কাটোয়ার ন’ঠাকরুন কালীর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
একদিনেই প্রতিমা গড়ে আরাধনা এবং বিসর্জন কাটোয়ার ন’ঠাকরুন কালীর

অমাবস্যা লাগার পর প্রতিমা গড়া শুরু করতে হবে। প্রতিমা গড়া শেষ করে সাজিয়েগুজিয়ে চক্ষুদান করে পুজো শেষ করে সেই রাতেই বিসর্জন। কাটোয়ার কুরচি গ্রামে বটগাছের নীচের এই ‘ন’ঠাকরুন’ কালী পুজো সম্পন্ন করতে ঘাম ছুটে যায় ভক্তদের। এত কম সময়ের মধ্যে সমস্ত আয়োজনে এতটুকু খুঁত রাখার জো নেই এই প্রাচীন পুজোয়। পুজোর সেবাইত মুরারিমোহন চট্টোপাধ্যায় কালীর সামনে পঞ্চমুণ্ডের আসনে বসে কালীসাধনা করতেন। সেই আসন আজও রয়েছে। পুজোটি চট্টোপাধ্যায় পরিবারের হলেও এখন সর্বজনীন চেহারা নিয়েছে। কালীকে পরানো হয় ডাকের সাজ। পুজোয় হত মহিষবলি। এলাকার গোটা দশেক গ্রামের কালীভক্তরা এই পুজোয় যোগ দেন। পুজোয় মানত-মানসিকের বন্যা বয়।

পুজোর সূচনা কবে হয়, কীভাবে হয়, কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেন না। গ্রামের প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পঞ্চদশ শতকের শেষ দিকে তন্ত্রসাধনার ‘আগম’ পদ্ধতিতে সিদ্ধিলাভ করেন নবদ্বীপের তান্ত্রিক কৃষ্ণানন্দ ভট্টাচার্য। তাঁর ‘তন্ত্রসার’ গ্রন্থে কালীপুজোর নির্দেশিত পথেই কুরচি গ্রামের এই কালীপুজো একদিনের। সূচনাকালে এলাকাটি ছিল জঙ্গলময়। ডাকাতরা এই কালীর স্থানে ফুল চড়িয়ে ডাকাতি করতে বের হত।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!