Advertisement
  • দে । শ
  • এপ্রিল ২০, ২০২৪

কাটোয়ার প্রাথমিকে খুদে পড়ুয়াদের জলের ঘাটতি পূরণে ‘ওয়াটার বেল’

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কাটোয়ার প্রাথমিকে খুদে পড়ুয়াদের জলের ঘাটতি পূরণে ‘ওয়াটার বেল’

দারুণ অগ্নিবাণে হৃদয় তৃষায় কাতর। কাতরতা মেটাতেই অভিনব উদ্যোগ কাটোয়ার আউরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। চালু করেছে জলঘন্টি। সেই ঘন্টাধ্বনি শুনেই স্কুলের কচিকাঁচা পড়ুয়ারা জলের বোতলে চুমুক দিচ্ছে। তাতেই মিটছে শিশুদের শরীরে  জলের ঘাটতি। আধঘন্টা অন্তর অন্তর বাজছে এই ‘ওয়াটার বেল’। আর খুদে পড়ুয়ার দল বইখাতা বুজিয়ে ঢক ঢক করে জল খাচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ উদ্যোগের তারিফ অভিভিবকমহলেও।
উল্লেখ্য যে, পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে চলছে তীব্র দহন। গোটা জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্কুলের প্রধানশিক্ষক তাপস কুমার গণ বলছিলেন, ‘এই দাবদাহ পরিস্থিতিতে যাতে কোনও পড়ুয়ার সমস্যা না হয়, সেজন্যই এই ব্যবস্থা।’ তিনি আরও জানান, ‘ওড়িশায় তাপপ্রবাহ থেকে খুদে পড়ুয়াদের রক্ষা করতে এই ওয়াটার বেল সিস্টেম চালু হয়েছে। সেটা দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়ে এখানে চালু করেছি। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে পর্যাপ্ত পানীয় জল নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।’ স্কুলে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ১৪৮ জন। স্কুল চলাকালীন মোট ৫ বার ঘন্টা বাজানো হয়। ঘন্টা বাজলেই লেখাপড়া স্থগিত রেখে জল খাচ্ছে পড়ুয়ারা। যেসব ছাত্রছাত্রী ঘন্টার ব্যাপারটা বুঝতে পারছে না বা জল খেতে পারছে না, তাদেরকে শিক্ষক-শিক্ষিকারাই জল খাইয়ে দিচ্ছেন।
একদিকে ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ আর একদিকে বৃষ্টি না হওয়া, জোড়া ফলায় রাজ্যের শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমান জেলার চাষের জমি ফুটিফাটা। পাট আর তিল চাষে ব্যাপক ক্ষতি দেখা দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। তার মধ্যে কালনা মহকুমাতেই পাটের চাষ হয় ৮,৫০০ হেক্টর এলাকায়। তীব্র দাবদাহে আম, লিচুও শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে। বৃষ্টির আশায় গোটা জেলাই এখন ‘চাতক পাখি’।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!