- দে । শ ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
- এপ্রিল ৯, ২০২৪
অস্তিত্ব রক্ষার আর্জি, তাঁত বুনে মোদি বার্তা শিল্পীর

কাপড়ের ‘জমি’তে মোদির অবয়ব। সঙ্গে বায়োডাটা। বুনলেন কাটোয়ার জগদানন্দপুরের তাঁতশিল্পী জগবন্ধু দালাল। এই শিল্পকর্ম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিজের হাতে উপহার দেওয়ার স্বপ্ন বুনছেন জগবন্ধু। এভাবেই হস্ততাঁতের প্রতি দেশের আগ্রহ বাড়ানোই উদ্দেশ্য জগবন্ধুর। শিল্পকর্মের কোন প্রথাগত শিক্ষা নেই জগবন্ধুর। তবে নিজস্ব প্রতিভায় কাপড়ের বুকে দেশের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের প্রতিকৃতি অনায়াসে বুনছেন বছর চল্লিশের জগবন্ধু ‘কোল-নারাজে’ (তাঁত যন্ত্র) বসে তাঁত কাপড়ের উপর শান-মাকু চালিয়ে সুতোর সূক্ষ্ম শিল্পকর্মে মনীষী-সহ সেলিব্রেটিদের ছবি ফুটিয়ে তোলার জুড়ি নেই জগবন্ধুর।
কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রাম তাঁত অধ্যুষিত এলাকা। যন্ত্রচালিত তাঁতের কোপে পড়ে হস্তচালিত তাঁত কাপড়ের চাহিদা কমতে শুরু করায় এলাকার বহু তাঁতশিল্পী জীবন বাঁচাতে নিজেদের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন। ‘এলাকার সেইসব শিল্পীরা যাতে ফের তাঁত শিল্পে ফিরে আসে তারই চেষ্টা করছি’ বলে জানালেন জগবন্ধু দালাল। এই তাঁতশাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৪২ ইঞ্চির পূর্ণাবয়ব ছবি-সহ দেশের নানান প্রকল্পের শিরোনাম তুলে ধরা আছে। ১৫০ কাউন্ট খাদি ও ৮০ কাউন্ট সুতো দিয়ে ৭ মিটার দীর্ঘ এই শাড়ি তৈরি করতে ৮০ দিন সময় লেগেছে। কাপড়টিতে মোদির অবয়ব বুনতে তাঁর স্ত্রী প্রতিমা, মা অণিমা ও বাবা গণপতি সাহায্য করেছেন। প্রতিমা জানান, ‘আমার স্বামীর তৈরি কাপড়ের উপর এই শিল্পকর্ম ফোটাতে পেরে আমরা খুশি। বাংলার মানুষ যদি এইসব শিল্পকর্ম দেখে তাঁত কাপড় বোনা ও কেনায় আগ্রহী হন, তাহলে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’ জগবন্ধুর বাবা গণপতির কথায়, ‘তাঁত কাপড়ের গৌরব বৃদ্ধি পেলে তাঁতিদের সংসারে সুখ আসবে।’ তাঁতযন্ত্রে মাকু ঢুকিয়ে ঝুলন্ত হাতলের টান দেওয়া জগবন্ধুদের এই প্রাচীন শিল্প বাঁচানোর ‘টানাপোড়েন’ কতটা সফল হবে, তা সময় বলবে।
❤ Support Us