Advertisement
  • এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩

আবারা হার, বছরের শেষ ম্যাচেও স্বপ্নপূরণ হল না মোহনবাগানের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আবারা হার, বছরের শেষ ম্যাচেও স্বপ্নপূরণ হল না মোহনবাগানের

ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিল মোহনবাগান। জুয়ান ফেরান্দো চেয়েছিলেন কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে বছর শেষ করা। কিন্তু স্বপ্নপূরণ হল না সবুজমেরুণ শিবিরের। কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১–০ ব্যবধানে হেরে বছরের শেষটা ভাল হল না জুয়ান ফেরান্দোর দলের কাছে। টানা তিন ম্যাচে হার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের।

ঘরের মাঠে ম্যাচ। অথচ মেহনবাগানের প্রথমার্ধের খেলা দেখে মনে হয়নি জেতার জন্য মাঠে নেমেছ। বরং শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স। ৪ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত কেরল। বাগান রক্ষণকে বেআব্রু করে বক্সের মধ্যে থেকে শট নিয়েছিলেন ডিয়ামানটাকোস। বল ক্রসবারে লেগে বেরিয়ে যায়। ৩ মিনিট পর আবার গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের সামনে। আইমেন শট নিতে দেরি করায় গোল পাননি। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি কেরালা ব্লাস্টার্সকে। একক প্রয়াসে বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে গোল লক্ষ্য করে শট নেন ডিয়ামানটাকোস। বল গোলার মতো ওপরের নেটে আছড়ে পড়ে।

এগিয়ে গিয়ে আরও তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানাতে শুরু করে কেরালা ব্লাস্টার্স। এই সময় মোহনবাগানকে জার্সি দেখে চিনতে হচ্ছিল। বলার মতো একটাও সুযোগ তৈরি করতে পারেননি সবুজমেরুণ ফুটবলাররা। আইমেন, ডিয়ামানটাকোস, রাহুল কেপি–দের আক্রমণের চাপে নাভিশ্বাস ওঠে মোহনবাগানের।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা খেলায় ফেরে মোহনবাগান। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে প্রথম কেরালা ব্লাস্টার্সের গোল লক্ষ্য করে শট নেয়। কামিংসের সেই শট পোস্টের গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৫৩ মিনিটে কামিংস আবার গোল লক্ষ্য করে হেড করেছিলেন। তাঁর সেই হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫৮ মিনিটে সুবিধাজনক জায়গায় ফ্রিকিক পেয়েও গোলে রাখতে পারেননি পেত্রাতোস। আক্রমণের ধার বাড়াতে ৬২ মিনিটে দীপক টাংরি ও কামিংসকে তুলে নিয়ে হামতে ও সাদিকুকে নামান জুয়ান ফেরান্দো।

৭৬ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হলে পেনাল্টির আবেদন করেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। রেফারি কর্ণপাত করেননি। ৮২ মিনিটে আর্মান্দো সাদিকুর সামনে গোলের সুযোগ এসেছিল। আশিস রাইয়ের সেন্টারে হেড করলেও তিন কাঠিতে রাখতে পারেননি সাদিকু। ৮৬ মিনিটে প্রতি আক্রমণে উঠে এসে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের সামনে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।

শেষ দিকে মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসেও সমতা ফেরাতে পারেনি মোহনবাগান। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি রাহুল কেপি। শেষদিকে আরও একটা নিশ্চিত গোল বাঁচান বিশাল কাইথ। কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে হেরে বছর শেষ করতে হল জুয়ান ফেরান্দোর দলকে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!