- এই মুহূর্তে দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
দু বছরের বন্দী জীবনের অবসান, অবশেষে কারামুক্তি সিদ্দিক কাপ্পানের ,
ছাড়া পেয়েই দানবীয় আইনের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার প্রতিষ্পর্ধী ঘোষণা কেরালিয়ান সাংবাদিকের

অবশেষে শেষ হল সিদ্দিক কাপ্পানের দীর্ঘ দু’বছরের কারাবাস। গত মাসে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা দুটি মামলায় জামিন পাওয়ার পরও প্রায় একমাস বন্দী ছিলেন তিনি । বৃহস্পতিবার লক্ষ্ণৌর জেল থেকে ছাড়া পেলেন কেরালার এই সাংবাদিক।
দু বছর আগে হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের খবর করতে গিয়ে ইউপি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন মালয়ালম সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সিদ্দিক। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। জামিন আটকাতেই নেওয়া হয়েছিল এই পদক্ষেপ। তবে হাইকোর্ট ও সর্বোচ্চ আদলতে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর জামিন পান তিনি। কিন্তু আইনী জটিলতায় আটকে ছিল তাঁর কারামুক্তি। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ আদালতের বিচারক অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় এ ব্যাপারে রায় দানে বিলম্ব ঘটে।
জেল থেকে বেরোবার পর সাংবাদিকদের দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানান, দানবীয় আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। নিজের দীর্ঘ ২৮ মাসের কারাবাস সম্পর্কে তিনি বলেন যে বিনা দোষে এত দিন তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। দু বছর এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন কিন্তু ভয় তাঁকে গ্রাস করেনি, জানালেন আত্মপ্রত্যয়ী কাপ্পান।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে হাথরাসে ২০ বছরের এক দলিত তরুণী গণধর্ষণের শিকার হন। পরে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ধর্ষিতা মেয়েটির দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সারা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে এই ঘটনার প্রতিবাদে। দিল্লির সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত কাপ্পান এই ঘটনার খবর করতে ঘটনা স্থলে গেলে পুলিশ যাত্রাপথেই তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজের অভিযোগ এনে গ্রেফতার করে। বন্দী হন তাঁর সহকর্মীরাও। পুলিশ আরও জানায় যে, জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে সিদ্দিক ও তাঁর দলবলের। আদালতেও এই বিষয়টি বিচারকদের সামনে আনা হলে এই ধরনের কোনো গোষ্ঠীর কাছে থেকে আর্থিক বা অন্য কোনরকম সাহায্য পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন কেরালার সাংবাদিক। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আজকে কাপ্পানের কারামুক্তির পর তাঁরাও যুদ্ধজয়ের স্বাদ পেলেন।
❤ Support Us