- এই মুহূর্তে
- জুন ৬, ২০২২
চাকরি কি আর থাকবে কেতুগ্রামের তরুণীর? জানালেন খোদ স্বাস্থ্য অধিকর্তা
স্ত্রী নার্সের চাকরি পাওয়া পছন্দ হয়নি স্বামী সফিরুল শেখের। 'নিরাপত্তাহীনতা'য় ঘুমন্ত অবস্থায় কবজি থেকে রেনুর ডান হাত কেটে নেয় সফিরুল।

কেতুগ্রামে স্বামীর হাতে আক্রান্ত ‘নার্স’ তরুণীর চাকরি নিয়ে আশ্বাস স্বাস্থ্য দফতরের। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেছেন, চাকরি নিয়ে কোনও অসুবিধা হবে না, আপাতত তরুণীর সুস্থ হয়ে ওঠার দিকে তাকিয়ে স্বাস্থ্যভবন। শুধু তাঁর ডিজ্যাবিলিটি কতটা হয়েছে, তা দেখে নেওয়া হবে।
স্ত্রী রেনু সরকারি নার্সের চাকরি পাওয়া পছন্দ হয়নি স্বামী সফিরুল শেখের। ‘নিরাপত্তাহীনতা’য় ঘুমন্ত অবস্থায় কবজি থেকে স্ত্রীর ডান হাত কেটে নেয় সফিরুল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুরুতর জখম রেনু খাতুন বর্তমানে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামের বাসিন্দা পেশায় মুদি দোকানদার সরিফুল শেখের সঙ্গে ২০১৭-র নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাসিন্দা রেনু খাতুনের। বিয়ের পর বেসরকারি নার্সিংহোমে কাজ করতেন রেনু। পরে আরজিকর থেকে নার্সিংয়ের ট্রেনিং নেন তিনি। তারপরই সরকারি হাসপাতালে নার্সিংয়ের চাকরি পান রেনু।
রেণুর স্বপ্ন ছিল সরকারি চাকরি করা। সেজন্যই কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনেও লক্ষ্যে স্থির ছিলেন রেণু। ২৮ মে ছিল নথি যাচাইয়ের করিয়েছিল রেণু। সরকারি চাকরির প্যানেল লিস্টে স্ত্রীর নাম দেখেই স্ত্রীকে চাকরিতে যোগ দিতে না দেওয়ার পরিকল্পনা করে স্বামী শের মহম্মদ।
৪ জুন রাতে কোজলসা গ্রামে নিজের বাড়িতেই দুই সঙ্গীকে নিয়ে শের মহম্মদ ঘুমন্ত অবস্থায় রেনুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান হাতের কব্জির নীচ থেকে কেটে দেয় বলে অভিযোগ । কাটা হাত বাড়িতে রেখেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে রেণুকে নিয়ে যাওয়া হয় যাতে চিকিৎকরা হাত জোড়া না লাগাতে পারেন। আরও অভিযোগ চিকিৎসায় ব্যাঘাতের জন্য শের মহম্মদ রেণু খাতুনের প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি নিয়ে গা ঢাকা দেয় ।
রেণু খাতুনের বাবা আজিজুল হক বলেন, ‘আমার মেয়ের স্বপ্ন ভেঙে গেল। আমি চাই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হোক।’ এদিকে রেণু খাতুনের দাদা রিপন শেখ বলেন, ‘শের মহম্মদ কখনওই চাইত না বোন চাকরি করুক। বোন চাকরি পেয়েছে এটা ভালোভাবে মেনে নিতে পারিনি শের মহম্মদ। সেজন্যই এই জঘন্য কাজ করেছে।’
❤ Support Us