- দে । শ
- মে ৬, ২০২৩
লাহোরের রাস্তায় নাটকীয় বন্দুক হামলা, খতম খলিস্তানি কম্যান্ডো প্রধান। ঘটনার নেপথ্যে কারা ? তদন্তে পুলিশ
অমৃতপাল কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই খুন হলেন খালিস্তানি কমান্ডো ফোর্সের প্রধান পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার। ড্রাগ ও অস্ত্র পাচারের কাজে যুক্ত খলিস্তানপন্থী নেতাকে কে বা কারা হত্যা করল তা জানা যায়নি। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
খলিস্তানপন্থী নেতার হত্যা যেন সিনেমাকেও হার মানায়। শনিবার সকালে লাহোরে জোহার টাউনে সানফ্লাওয়ার সোসাইটিতে নিজের বাড়ির সামনে রাস্তায় হাঁটছিলেন পরমজিৎ। আচমকা সে সময় দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মোটর বাইকে চড়ে এসে তাকে গুলি করে। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন বহু কুখ্যাত অপরাধের মূলচক্রী। পরে আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
খবরটি প্রকাশ্যে আনেন লাহরের খলিস্তানী সংগঠনের নেতা কুয়ার পাল সিংহ। শনিবার দুপুরে তিনি মৃত্যুর খবরটি জানান। হত্যার পিছনে কারা নিয়ে দলের মধ্যে ধোয়াশা রয়েছে। তাদের সমর্থকদের ধারণা, পুরো হত্যকাণ্ডের পিছনে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র- ‘র হাত রয়েছে। তার কারণ বিগত কয়েক বছরে ড্রোনে করে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ থেকে ভারতে অস্ত্র এবং মাদক পাচার কাজে পরমজিতের নাম উঠে এসেছিল। সন্ত্রাস বিরোধী ইউএপিএ ধারায় তার নামে মামলাও রুজু করেছিল ভারত সরকার। মূলত ভারতে বেআইনি সামগ্রী পাচারই ছিল তার আয়ের প্রধান উৎস। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পরমজিৎ পাকিস্তানে থাকলেও , তার স্ত্রী-সন্তানরা থাকে জার্মানিতে।
পাকিস্তান থেকে নিজের কাজ চালালেও পরমজিতের জন্ম কিন্তু ভারতীয় পাঞ্জাবের তর্ণ তরণ জেলায়। নিজের খুড়তুতো দাদা লাভ সিংয়ের কথায় খলিস্তানি কার্যকলাপে বিশ্বাসী হয়ে ওঠে পরমজিৎ। ১৯৮৬ সালে খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সে যোগ দেয় সে। এর আগে অবশ্য সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে কাজ করত পরমজিৎ। পরে, পুলিশের সঙ্গে ভাই লাভ সিং-এর মারা যাওয়ার পর ১৯৯০-এর দশকে পরমজিৎ কেসিএফ-এর প্রধান হয়। এ অভিযোগবার বার উঠেছে, পাক মদতে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল পরমজিৎ। যদিও সেদেশে পরমজিতের অস্তিত্ব বরাবরই অস্বীকারই করেছে ইসলামাবাদ। এখন গুপ্ত ঘাতকের হাতে খলিস্তানি নেতার হত্যায় প্রকৃত সত্য সামনে এল।
❤ Support Us