Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩

দু–দুবার এগিয়ে গিয়েও কিংস কাপে ইরাকের কাছে টাইব্রেকারে হার ভারতের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দু–দুবার এগিয়ে গিয়েও কিংস কাপে ইরাকের কাছে টাইব্রেকারে হার ভারতের

ধারে–ভারে ভারতের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ইরাক। তবুও দেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন নওরেম মহেশ সিং, মনবীর সিংরা। দু–দুবার এগিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ইরাকের। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ২–২। টাইব্রেকারে ভারতকে ৫–৪ ব্যবধানে হারিয়ে কিংস কাপের ফাইনালে চলে গেল ইরাক।
আগে কখনও ইরাকের বিরুদ্ধে জেতেনি ভারত। দুই দল ৬ বার মুখোমুখি হয়েছিল। ইরাক জিতেছিল ৫টিতে। ১টা ম্যাচ ড্র। এদিন জয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু ১৯৯৭ সালে নেহেরু কাপের সেমিফাইনালের মতো আবার টাইব্রেকারে হার ভারতের। এদিন হারের প্রধান কারণ ফুটবলারদের ক্লান্তি ও রক্ষণের ভুল। এদিন থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই স্টেডিয়ামে কিন্তু হারার মতো খেলেনি ভারত। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইরাকের বিরুদ্ধে গোটা ম্যাচ দুর্দান্ত লড়াই করেন মহেশ সিং, সাহাল আব্দুল সামাদ, অনিরুদ্ধ থাপারা।
১৬ মিনিটে সাহালের পাস থেকে বাঁপায়ের দারুণ শটে ভারতকে এগিয়ে দেন মহেশ সিং। পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইরাক। ২৮ মিনিটে বাশারের শট বক্সের মধ্যে সন্দেশ ঝিঙ্ঘানের হাতে লাগে। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন আল হামাদি। দ্বিতীয়ার্ধেও ভারত আধিপত্য বজায় রেখে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল ইরাকের বক্সে। ৫১ মিনিটে আবার এগিয়েও যায়। তবে এই গোলটা ছিল ইরাক গোলকিপারের উপহার। আকাশ সিংয়ের মাইনাস ধরতে গিয়ে নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে দেন।
৭৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে এমেন হোসেনকে ফাউল করেন সন্দেশ ঝিঙ্ঘান। আবার পেনাল্টি পায় ইরাক। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান এমেন। বাকি সময়ে কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। এরপর টাইব্রেকারে ম্যাচের নিস্পত্তি হয়। ইরাক ৫টি শটেই গোল করে। ভারতের হয়ে গোল করেন সন্দেশ, সুরেশ, আনোয়ার, রহিম। ব্রেন্ডনের শট পোস্টে লাগে। থাইল্যান্ড ও লেবানন ম্যাচের পরাজিত দলের সঙ্গে রবিবার ভারত তৃতীয় স্থানের জন্য খেলবে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!