Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪

অনড় দুই পক্ষই, জট কাটল না, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সিনিয়র চিকিৎসকদের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
অনড় দুই পক্ষই, জট কাটল না, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সিনিয়র চিকিৎসকদের

জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের ৪৮ ঘন্টা কেটে গেল। সরকার পক্ষের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বেশ কয়েকটা ইমেল চালাচালিও হয়েছে। তবুও এখনও জট কাটল না। অবস্থানে অনড় দুই পক্ষই। জুনিয়র চিকিৎসকদের পরিষ্কার বক্তব্য, যতক্ষণ না ৫ দফা দাবি পূরণ করবে রাজ্য সরকার, ততদিন অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভরত জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনায় বসার জন্য মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সেই ইমেল অপমানজনক মনে হয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাই আলোচনায় বসার আবেদন খারিজ করে দেন। বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় বসার জন্য আবার চিঠি দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ইমেলে বলা হয়েছিল ১২–১৫ জন জুনিয়র চিকিৎসক বৈয়কে হাজির থাকতে পারবেন। কিন্তু বৈঠকে বসার জন্য পাল্টা শর্ত দেন আন্দোলনকারীরা। তারা বলেন অন্তত ৩০ জন প্রধিনিধি যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে। পাশাপাশি বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। রাজ্য মুখ্যসচিবের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জুনিয়র চিকিৎকদের কাছে আর কোনও ইমেল আসেনি।
বুধবার বিকেলেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌রাজনীতি লুকিয়ে রয়েছে বলেই এই ধরনের ঘটনাপ্রবাহ। আজও তাদের আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা কিছু শর্ত দিলেন। জনসাধারণের কাছে স্পষ্ট করে দিতে চাই রাজ্য সরকার চাইছে খোলা মনে আলোচনা করতে। কোনও শর্ত রেখে নয়। খোলা মন ও শর্ত একসঙ্গে চলে না। অর্থাত্‍ খোলা মন নেই। এর পেছনে হয়তো রাজনীতির খেলা রয়েছে। তাই শর্ত আরোপ করা হয়েছে।’‌
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর মন্তব্য যথেষ্ট বেদনাদায়ক মনে হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাঁদের বক্তব্য, ‘‌আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। চোখে ঘুম নেই। আর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এরমধ্যে রাজনীতি দেখছেন। আসতে ওনারাই রাজনীতি করছেন। আমরা এখনও আলোচনার অপেক্ষায় আছি।’‌ এদিন ভোর ৩.‌৪৯ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ইমেল পাঠানো হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের বুধবার রাতভর ধর্না চলেছে। আজ সকাল হতেই সল্টলেকের স্থানীয় বাসিন্দারা অবস্থানরত ডাক্তারদের চা, বিস্কুট, খাবার পৌঁছে দেন। কলকাতার অন্যান্য প্রান্ত থেকেও খাবার এসে পৌঁছেছে। মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিজেদের বাড়ির শৌচালয় খুলে দিয়েছেন সল্টলেকের বাসিন্দারা।
এদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আবার পাশে দাঁড়ালেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিলেন। সিনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‌জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে আছি। ওদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে আমরা আগামী দিনে কর্মবিরতির মতো বড় পদক্ষেপ গ্রহন করতে বাধ্য হব।’‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!