Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • জুন ১২, ২০২৪

কুয়েতে বিধ্বংসী আগুন। মৃত ৪১ জনের মধ্যে ৫ ভারতীয়

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কুয়েতে বিধ্বংসী আগুন। মৃত ৪১ জনের মধ্যে ৫ ভারতীয়

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের দক্ষিণের মাঙ্গাফ শহরে একটি আবাসনে কাকভোরে আগুন লাগার ফলে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৫ জন ভারতীয়। মৃত পাঁচ ভারতীয়ের মধ্যে দু জন তামিলনাড়ুর ও বাকি তিনজন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। আজ স্থানীয় সময় সকাল ছটায়(ভারতীয় সময় সকাল নটা) এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা গেছে ওই আবাসনের অধিকাংশ বাসিন্দাই শ্রমিক। সকালে কিছু বাসিন্দা ওই আবাসনে আগুন লাগতে দেখে প্রাণ বাঁচানোর জন্য নিচে লাফ দিলে তাঁদের মৃত্যু ঘটে। বাকি বাসিন্দাদের মৃত্যু হয়েছে আগুনে পুড়ে অথবা ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে।

কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আগুনে পুড়ে যাওয়া ৪৩ জনকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত পাঁচ ভারতীয় ওই নির্দিষ্ট চারজনের অন্তর্ভুক্ত কিনা তা জানা যায়নি। আবাসনটির মালিকও একজন ভারতীয়। কেজি আব্রাহাম নামে এক দক্ষিণ ভারতীয় ব্যবসায়ী বাড়িটি ভাড়া দেন। বাণিজ্যিক এলাকার অবস্থিত ওই বাড়িটিতে প্রায় ১৯৫ জন শ্রমিক থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতীয় ছিলেন। তবে কুয়েতের মেজর জেনারেল ইদ রাশেদ হামাদ জানিয়েছেন, ৪১ জনের মৃত্যুর ঘটনার পরেও বহু মানুষকে আগুনের হাত থেকে রক্ষাও করেছেন তাঁরা।

মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, কুয়েত সিটিতে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। আমাদের কাছে খবর এসেছে যে, ৪০ জন মারা গিয়েছে ও ৫০এর বেশি মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমাদের প্রতিনিধিরা সেখানে গিয়েছেন। পরবর্তী তথ্যের জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি।’ কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাস একটি হেল্পলাইন নম্বরও প্রকাশ করেছে। তাঁরা বলেছেন যে, যেসব ভারতীয় কর্মীরা অগ্নি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত , দূতাবাস তাঁদের সম্ভাব্য সমস্ত সহায়তা প্রদান করবে।

কুয়েতের মেজর জেনারেল ইদ রাশেদ হামাদের অনুমান। এই আবাসনে পরিসরের অতিরিক্ত শ্রমিক বসবাস করতেন। তিনি জানিয়েছেন , ‘আমরা সবসময় সবাইকে সচেতন করি যে, এক জায়গায় অনেক মানুষকে গাদাগাদি করে রাখবেন না। ‘ তাঁর কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে উপযুক্ত তথ্য নেই।সরকারের এই ঢিলেঢালা মনোভাবের ফলে, পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশ থেকে বহুদূরে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের আর ঘরে ফেরা হলনা। ফলস্বরূপ, উৎসবের আলো আর জ্বলল না তাঁদের ঘরে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!