- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৩, ২০২৪
ফুঁসছে তিস্তা, বন্ধ হল সিকিম সীমান্তের তিস্তাবাজার।বন্যায় মঙ্গনে মৃত ১, নিখোঁজ ৫
উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে ইতিমধ্যেই। তবে তার প্রভাবে রীতিমতো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। উত্তরবঙ্গের প্রধান নদী তিস্তাসহ বাকি নদীগুলি অতি বর্ষণে রীতিমতো ফুঁসছে। বৃষ্টিপাত যে পরিমাণে হচ্ছে তাতে যেকোনো সময় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় কালিম্পং-দার্জিলিং সড়ক পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাইকে লাগাতার প্রচারও চলছে । এই নিয়ে সকালে জেলা প্রশাসনের তরফে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তিস্তা বাজার এলাকায় কালিম্পং থেকে দার্জিলিংগামী পথ অত্যন্ত বিপদসংকুল হয়ে ওঠায় প্রশাসন থেকে সে পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিস্তা নদীর পাড়ের এলাকা সেবক,লালটংবস্তি, গাজলডোবার মিলনপল্লি, টাকমারির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় রাস্তার ওপর দিয়ে নদীর জল বইছে। সিভিল ডিফেন্স ও এনডিআরএফ এর দলকে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির আঁচ দেখা গেছে পাশের রাজ্য সিকিমেও । সেখানে গত কদিন ধরে বন্যা ও ভূমিধ্বসে শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিমের মঙ্গন এলাকা। রাজ্যের বাকি এলাকার সঙ্গে তার যোগাযোগ এক প্রকার বিচ্ছিন্ন বলা যায়। বন্যায় সে অঞ্চলের ১ বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে।৫ জন বাসিন্দা সম্পূর্ণ নিখোঁজ।এদের মধ্যে ৩ জন আম্বিথাং অঞ্চলের, বাকি দুজন পাকশেপ এলাকার । উত্তর সিকিমে ভারী বৃষ্টির প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত বললেও কম বলা হয়।তিস্তা বা ত্রিস্রোতা নদীর উৎস সিকিমে, তবে যে এলাকায় সে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে সে এলাকার নাম ‘তিস্তাবাজার’ । এই এলাকাটি পশ্চিমবঙ্গ- সিকিম সীমান্তে অবস্থিত বলে সেখান দিয়ে সিকিমে প্রবেশ করা যায়। তাই তিস্তা তান্ডব চালালে দুই রাজ্যের দুই এলাকাতে তার প্রভাব পড়ে। উত্তর সিকিমে গত কদিনের অতিবৃষ্টির ফলে মঙ্গন ছাড়াও চুংথাং, লাচুং, লাচেন-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাষ। বুধবার রাতের বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে আপাতত জোর কদমে উদ্ধারের কাজ চলছে । সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা দল তো রয়েছেই, পাশাপাশি স্থানীয় মানুষেরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
❤ Support Us