Advertisement
  • দে । শ
  • জানুয়ারি ২, ২০২৪

লিপস অ্যান্ড বাউন্সের ৮টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু, আদালতে জানাল ইডি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
লিপস অ্যান্ড বাউন্সের ৮টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু, আদালতে জানাল ইডি

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউম্সের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। মঙ্গলবার ইডি কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়ে দিল, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ উঠেছিল লিপস অ্যান্ড বাউন্সের বিরুদ্ধে। এবার এই সংস্থার ৮টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করল ইডি। এই মামলার বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে ইডি মঙ্গলবার আদালতে জানিয়েছে, এই সম্পত্তির মূল্য সাড়ে সাত কোটি টাকা। প্রসঙ্গত লিপস অ্যান্ড বাউন্স সংস্থার সিইও পদে আছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে লিপস অ্যান্ড বাউন্সের সঙ্গে যুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে ইডি গ্রেফতার করেছে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের উৎস এই মামলার নিরিখেই জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইডির কাছে মুখবন্ধ খামে এই জবাব চেয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। গত ১৪ ডিসেম্বর ইডির তরফে সেই নথি জমা দেওয়া হয়েছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্সের সম্পর্কে অনেক তথ্যই এর আগেই ইডির কাছে জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এর মধ্যে সংস্থার ৬জন ডিরেক্টর, তাঁদের নাম, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ, সংস্থার লেনদেন, লেনদেনের আর্থিক মূল্য, সংস্থার উপভোক্তা কারা, তাঁদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সংস্থার দৈনন্দিন কাজ কে কোনটা করেন, সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ, তাঁর মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির বিবরণ, সংস্থার সব কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কর্মীদের সংস্থায় কাজে যোগ দেওয়ার দিনক্ষণ, কেন সংস্থার ঠিকানা বদল করা হল, এই মামলার তদন্তে কার কাছে ইডি সাহায্য চায়, এর সবটাই ইডিকে হাইকোর্টে জানাতে বলা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডির কাছে সম্প্রতি ইডির চাহিদা মতো তথ্য জমা দিয়ে এসেছেন। তারা যে সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপর নজরদারি চালাচ্ছে ও লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে, তা আদালতে ইডি জানায়।

মঙ্গলবার ইডি কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ দুনীতি মামলায় সাড়ে সাত কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৮টি সম্পত্তি ইডির নজরে এসেছে, তা বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া ইডি শুরু করেছে।

এই মামলা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩-এর মধ্যে শেষ করার কথা ছিল, কেন তা হল না? বিচারপতি অমৃতা সিনহার এই প্রশ্নের জবাবে ইডি জানায়, তাদের হাতে এই মামলা সংক্রান্ত আরও তথ্য এসেছে,তাই এখনও তদন্ত শেষ করা যায়নি। ইডির আইনজীবী আদালতের কাছে এই মামলার জন্য আরও কিছুটা সময় চান। তারপর বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডির জয়েন্ট ডিরেক্টরকে বুধবার আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন।

এদিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কারা চাকরি বিক্রির এজেন্টের কাজ করত তার একটি তালিকা সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছে। এই তালিকায় নাম উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী ও রাজারহাটের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী, কলকাতা পুরসভার চিফ হুইপ ও ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর নাম। এর আগে সিবিআই এই দুই তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তখন দেবরাজ, বাপ্পাদিত্য দুজনেই বলেছিলেন, সিবিআই আমাদের কাছে যা জানতে চেয়েছে জানিয়েছি। আবার ডাকলে যাব, যা জানতে চাইবে জানাব।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!