- এই মুহূর্তে বৈষয়িক
- অক্টোবর ২৫, ২০২৫
কেন্দ্রের নির্দেশে আদানির সংস্থায় এলআইসির ৩.৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, দাবি ওয়াশিংটন পোস্ট-এর। দাবি অস্বীকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এলআইসি)-কে প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আদানি গোষ্ঠীতে বিনিয়োগ করতে বাধ্য করেছিল, যদিও সেই সময় আদানি গোষ্ঠীকে ঘিরে একাধিক বিতর্ক চলছিল।
এই পরিকল্পনা সামনে আসে চলতি বছর, যখন বন্দর, বিমানবন্দর এবং শক্তি খাতে বিস্তৃত আদানি সাম্রাজ্য অতিরিক্ত ঋণ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের চাপে পড়েছিল। তখনই এলআইসিকে বড় অঙ্কের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার কৌশল তৈরি হয় বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিকল্পনাটি অত্যন্ত দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে এলআইসি আদানির পোর্টস সাবসিডিয়ারির জন্য ৫৮৫ মিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যু-এর অর্থায়ন করে। এই পদক্ষেপকে সঙ্গে সঙ্গেই অনেক বিশেষজ্ঞ “বিতর্কিত ও পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত” বলে সমালোচনা করেন।
প্রস্তাবিত কৌশল অনুযায়ী, এলআইসি প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার আদানি গোষ্ঠীর ইস্যু করা কর্পোরেট বন্ডে এবং আরও একটি বড় অংশ ইকুইটি বা শেয়ারে বিনিয়োগ করে।
অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই পদক্ষেপকে “আদানি ও মোদির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রকট নিদর্শন” বলে বর্ণনা করেছেন। তাঁদের মতে, এই ঘটনা স্পষ্ট করে যে, আদানির ব্যবসায়িক শক্তি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তেও প্রতিফলিত হচ্ছে।
কংগ্রেস এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, এই বিষয়ে তারা গত তিন বছর ধরে তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে এবং এখন যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গঠনের মাধ্যমে বিষয়টি পর্যালোচনার দাবি তুলেছে।
এদিকে, ওয়াশিংটন পোস্টের আদানি সংক্রান্ত রিপোর্ট অস্বীকার করল এলআইসি। জানাল, সব বিনিয়োগই নীতিনিষ্ঠভাবে করা হয় শনিবার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এলআইসি) ওয়াশিংটন পোস্টের প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ভারতীয় সরকারি আধিকারিকরা গত মে মাসে একটি প্রস্তাব তৈরি করেছিলেন, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা এলআইসি থেকে প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলিতে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা ছিল। এলআইসি এই দাবি “ভিত্তিহীন ও মিথ্যা” বলে জানিয়েছে।
একটি বিবৃতিতে এলআইসি জানিয়েছে, প্রতিবেদনে যে বক্তব্যগুলি করা হয়েছে, তা মনে হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে এলআইসির সুপ্রতিষ্ঠিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা এবং ভারতের আর্থিক খাতের শক্তিশালী ভিত্তি ও এলআইসির ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
সংস্থার দাবি, তাদের সমস্ত বিনিয়োগই “সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে” করা হয় এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হয়।
❤ Support Us






