- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
হালান্ডকে হারিয়ে আবার ফিফার বর্ষসেরা লিওনেল মেসি
গত মরশুমে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন আর্লিং হালান্ড। ম্যানচেস্টার সিটিকে ত্রিমুকুট জেতাতেও সাহায্য করেছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার এবার হয়তো আর্লিং হালান্ডের হাতেই উঠবে। কিন্তু শেষমুহূর্তে বাজিমাত করে গেলেন সেই লিওনেল মেসি। আর্লিং হালান্ড ও কিলিয়ান এমবাপেকে পেছনে ফেলে ২০২৩ ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের শিরোপা জিতে নিলেন আর্জেন্টিনার এই ফুটবল তারকা। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বর্ষসেরা মুকুট উঠল মেসির মাথায়। আর সব মিলিয়ে তৃতীয়বার।
একগুচ্ছ ফুটবলারকে বাছাই করে তিনজনকে বর্ষসেরা জন্য মনোনীত করেছিল ফিফা। তালিকায় ছিলেন লিওনেল মেসি, আর্লিং হালান্ড ও কিলিয়ান এমবাপে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ভোটের লড়াইয়ে মেসি ও হালান্ড দুজনেরই পয়েন্ট ছিল ৪৮। বিভিন্ন জাতীয় দলের অধিনায়কদের প্রথম পছন্দের ভোটে এগিয়েছিলেন মেসি। তাই ফিফার ‘রুলস অফ অ্যালোকেশন’–এর ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মেসিকেই সেরা বেছে নেওয়া হয়। ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে।
২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরমেন্স বিচার করেই বর্ষসেরা বেছে নেওয়া হয়েছে। পুরুষদের বিভাগে বর্ষসেরা ফুটবলার বেছে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, সাংবাদিক ও ফুটবলপ্রেমীরা ভোট দিয়েছেন। তাঁদের ভোটের বিচারে একই জায়গায় ছিলেন মেসি ও হালান্ড। কিন্তু জাতীয় দলের অধিনায়কদের প্রথম পছন্দের ভোট মেসির পক্ষে বেশি ছিল।
সোমবার রাতে লন্ডনে ফিফার এই বর্ষসেরা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল তারকার মেলা। ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা থেকে শুরু করে ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনাল্ডো, কাফু, রবার্তো কার্লেস, জার্মানির পল ব্রেটনারদেরও দর্শক সারিতে দেখা গেছে। পুরো অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্ব ছিলেন ফ্রান্সের প্রাক্তন ফুটবলার থিওরি অঁরি।
এদিন পুরস্কার নিতে আসতে পারেননি লিওনেল মেসি। তাঁর হয়ে পুরস্কার নেন সঞ্চালক থিওরি অঁরি। ইন্টার মায়ামির অনুশীলন থাকায় লন্ডনে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেননি মেসি। আসলে তিনি চাননি প্রাক মরশুমে মায়ামির হয়ে কোনও প্র্যাকটিস সেশন মিস করতে। শুক্রবার সালভাগোরের বিরুদ্ধে মরশুমের প্রথম ম্যাচ খেলবে মায়ামি।
এদিকে, পুরুষদের বিভাগে বর্ষসেরা গোলকিপার হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির এডেরসন। পেছনে ফেলেছেন আল হিলালের ইয়াসিন বুনু ও রিয়েল মাদ্রিদের থিবো কোর্তেয়াকে। সেরা কোচের পুরস্কার পেয়েছেন পেপ গুয়ার্দিওলা। তিনি পেছনে ফেলে দিয়েছেন সিমোনে ইনজাঘিকে। মহিলাদের বিভাগে বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন স্পেনের বোনমাতি। মেয়েদের বিভাগে সেরা কোচ হয়েছেন ইংল্যান্ড মহিলা ফুটবল দলের কোচ সারিনা ভাইগম্যান। ফেয়ার প্লে পুরস্কার জিতেছে ব্রাজিল।
❤ Support Us