Advertisement
  • বৈষয়িক
  • মে ১৬, ২০২২

লিচু মৌসুমে দুই বাংলায় হতাশা। কাঁচা ফল বাজারে ঢোকার আগেই রং বদলে লাল।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
লিচু মৌসুমে দুই বাংলায় হতাশা। কাঁচা ফল বাজারে ঢোকার আগেই রং বদলে লাল।

বঙ্গীয় সমতটের মালদা, মুর্শিদাবাদ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, পাবনা, ময়মনসিংহ, ঢাকার সোনারগাঁ, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, যশোর, চট্টগ্রাম ও দিনাজপুরে লিচু চাষ ক্রমশ বাড়ছে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, রাজশাহি ও দিনাজপুরের লিচু গুণমানে সবার শীর্ষে। বিহারের ভাগলপুরের লিচু থেকে বংলার লিচুর উৎপাদনের পরিমাণ কোনো অংশে কম নয়। বঙ্গ ভূখণ্ডে লিচু চাষের আয়তন বাড়লেও ফলনে নানা ধরণের উপদ্রব তৈরি হচ্ছে।
বাজারে লিচু আসতে শুরু করেছে। কিন্তু সুস্বাদু ফসলটি নিয়ে বিক্রেতাদের উৎসাহ ম্লান । দাম বেশি। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আবহাওয়া ও অন্যান্য কারণে অন্যান্য বছররে তুলনায় অন্তত ত্রিশ হাজার টন কম লিচু উৎপাদিত হয়েছে । দিন কয়েক আগে হঠাৎ কুয়াশা ঝাঁপিয়ে পড়ে । বৃষ্টির আগেও কুয়াশার ছড়িয়ে পড়া উৎপাদনকে ব্যাহত করেছে । মরসুমী শুরু হলে ফলে পোকার ভিড় বাড়বে । উৎপাদন আরও কমে যাবে।

বাংলাদেশর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অধিকর্তা মেহেদি মাসুদ বলেছেন, লিচুর মৌসুম সাধারণত এক মাস। মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই সময়সীমার মধ্যে লাল চামড়ার লিচুতে বাজার ভরে যায়।
এবার মৌসুমের আগেই অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য কৃষকরা কাঁচা লিচু বাজারে নিয়ে আসেন। লিচুর স্বাদ নেই । উপকারিতাও নেই।

উল্লেখ করা দরকার, ঢাকা এবং কলকাতায় এ ব্যাপারে তফাৎ নেই । কিছুদিন পর পশ্চিমবঙ্গের বাজারে ভাগলপুরের লিচু ঢুকতে থাকে । পরিমাণে বেশি, দামও উঁচু। গত কয়েক বছর ধরে ফল প্রক্রিয়া করণের আয়তন বৃদ্ধির জন্য লিচু খুব দ্রুত বাজার থেকে হাওয়া হয়ে যায়। সেই ফল পরে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বোতল বন্দি হয়ে সারা বছর ধরে যখন বাজার জাত হয়, তখন লিচু জুস সাধারণ মানুষের কেনার নাগালের বাইরে চলে যায়। পঁচনশীল ফল বলেই লিচু পক্রিয়াকরণে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ বাড়ছে । সরকারও তাঁদের উৎসাহিত করছে। বাংলাদেশের লিচু জুস ইদার্নিং কোনও কোনও বহুজাত সংস্থার আওতায় । দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপে তারা বোতলে লিচু রস রপ্তানি করছে।


❤ Support Us
error: Content is protected !!