Advertisement
  • দে । শ
  • এপ্রিল ২৯, ২০২৪

প্রথম দুই দফায় ভোট প্রয়োগের সর্বোচ্চে ত্রিপুরা, মণিপুর। সবার নিচে আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ

উদ্বেগের ওজন বাড়বে কাদাজলের পদ্মে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
প্রথম দুই দফায় ভোট প্রয়োগের সর্বোচ্চে ত্রিপুরা, মণিপুর। সবার নিচে আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ

দুই দফা ভোটে প্রায় প্রতি রাজ্যে ভোট কম পড়েছে।কিছুটা ব্যতিক্রম ত্রিপুরা, মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গ আর কেরল।প্রবল হতাশাজনক ছবি উত্তর প্রদেশে। কারণ কি?গরমের ঝাপটা, প্রাতিষ্ঠানিকতা বিরোধ, রামমন্দির নির্মাণের প্রত্যাশিত মেরুকরণে সাড়া নেই ভোটারের। উত্তর প্রদেশে বাজিমাত করবে ভেবেছিল যোগী সরকার। এই পর্যন্ত যে সব কেন্দ্রে ভোট হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, ভোট প্রয়োগের প্রক্রিয়া নিম্নমুখী, সাড়া নেই তরুণদের। সব মিলিয়ে গো বলয়ের সবচেয়ে বড় এ রাজ্যে দু দফায় ভোট দিয়েছেন ৫৩.৮%। মোদীর শাসন পর্বে , আগের দুই নির্বাচনের তুলনায়, যা অনেকাংশে কম। বিপরীত চিত্র  ত্রিপুরায়। ভোট প্রয়োগের হার ৭৮ শতাংশের বেশি। মৈতেয়ি মধ্যশ্রেণী  ও অন্যান্য জনগোষ্ঠী , বিশেষ করে উপজাতিরা হিন্দু মেরুকরণের রাজনীতিকে কখনও বিশেষ আমল দেয়না। সাম্প্রতিক হিংসায় রক্তাক্ত আধাপাহাড়ি,আধা সমতলীয় অঞ্চলের ভোটার কেন্দ্রের নিষ্ক্রিয়তাকে বাঁকা চোখে দেখছেন। গত বিধানসভা ভোটে আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করতে হয়েছে বিজেপিকে, দল ভাঙিয়ে সরকার গড়েছিল কেন্দ্রীয় শাসকদল। গত লোকসভা ভোটেও দেখা গেছে আঁতাতের কৌশল।

২৩-২৪ সালে মাসের পর মাস জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়ল, কেন্দ্র তা রুখতে পারলনা। উপজাতি মহিলাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার নেমে এল। বাড়ল জাতিদাঙ্গা। তখনও নীরব কেন্দ্র। মাদক পাচার চলল তলে তলে। হিংসা আর মাদক অর্থনীতির চাপে ক্রোধ ছড়াল বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর, ভোটে ঘটল তার প্রতিফলন, বিজেপির বিভাজন নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠল জনরোষ। প্রতিবেশী ত্রিপুরা বিজেপি শাসিত। গত ১৫বছরে দুবার বদলানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ভোটে লরেছেন।দুই আসন নিয়েই চিন্তিত বিজেপি। প্রাতিষ্ঠানিকতা বিরোধের আবেগ আর লম্বা লাইন দেখতে হয়েছে পর্যবেক্ষক , ভোটকর্মী আর পরস্পরবিরোধী প্রতিপক্ষকে।

পার্শ্ববর্তী বরাক উপত্যকায় ভোট শেষ। করিমগঞ্জে ভোট পড়েছে ৭৫.৬০ শতাংশ। আর সংরক্ষিত শিলচরে ৭৫.৯৭ শতাংশ।করিমগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরীকে লড়তে হয়েছে প্রবল। মুখে মুখে খবর ছড়িয়েছে জিতছেন গুয়াহাটির খ্যতিমান আইনজীবী। যদি জেতেন ব্যবধান বেশি হবে না। অসমে ইতিমধ্যে ১০ আসনে ভোট হয়ে গেছে। পরের ভোট ৭ মে। কংগ্রেস আশাবাদী , সংসদে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি পাবে।ডিব্রুগড় , জোরহাট, উত্তর লখিমপুর , নওগাঁ, করিমগঞ্জ, কাজিরাঙা তাঁদের দখলে আসতে পারে। গুয়াহাটি , ধুবড়ি নিয়েও আশার ঝিলিক। ধুবড়িতে এআইইউডিএফ নেতা বদরউদ্দিন আজমলের অর্থবল আর বুকের বল জোট বেঁধেছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী রাকিবুল হোসেন। আজমলের সঙ্গেও টক্কর দিয়েছেন জোর। জিততে পারেন, হারলেও ব্যবধান বেশি হবে না। এআইইউডিএফ শক্তিমান দল। সংসদে তাঁদের প্রতিনিধি সাকুল্ল্যে ১জন, বিধানসভায় তৃতীয় শক্তি।ব্যক্তি আজমলই তাদের সব শক্তির উৎস।অসমে কংগ্রেসের সম্ভাবনাময় প্রতিটা কেন্দ্রেই প্রাতিষ্ঠানিকতা বিরোধ আর ভাবাবেগের জোর বেশি বলেই, ভোট প্রয়োগের হার ঊর্ধ্বমুখী মনে হয়েছে। হিন্দুত্ববাদ, সিএএ নিয়ে প্রচার কাজে আসেনি। সে তুলনায় উত্তর প্রদেশে ভোট প্রয়োগের প্রবল অবক্ষয় পদ্ম শিবিরের চিন্তায় অতিরিক্ত ভাঁজ তৈরি করেছে। তাহলে কি ‘মন্দির নির্মাণের সাফল্য’, ‘যোগীর তথাকথিত সুশাসন’, ‘ এঙ্কাউন্টার নীতি এবং নরেন্দ্র মোদীর শ্লোগান “এবার ৪০০ পার”-অকেজো হয়ে উঠবে? হতেও পারে। ক্ষমতায় ফিরলেও নরেন্দ্র মোদীকে লড়তে হবে মোদীজির ১০ বছরের ভাবমূর্তির বিরুদ্ধে। প্রতিহিংসা, সরাসরি সাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরতান্ত্রিকতার ঝোঁক হয়ত ওজন কমাবে তাঁর।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!