- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
বিরোধী শূন্য লোকসভায় পাস বিতর্কিত “নয়া অপরাধ আইন বিল”
দেশের সংসদকে কার্যত বিরোধীশূন্য অবস্থায় রেখে লোকসভায় বিতর্কিত “নয়া অপরাধ আইন বিল” পাস করিয়ে নিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এতদিন ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধি বলে পরিচিত ছিল যে আইন, তার পরিবর্তে “ভারতীয় ন্যায় সংহিতা”, কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের পরিবর্তে “ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা” এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টের পরিবর্তে “ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম বিল” পেশ করেছিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিল তিনটি পেশ করা হয়। বুধবার ফের আলোচনা শুরু হলে, সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে সেই বিল পাস হয়ে গেল লোকসভায়। এর পর রাজ্যসভায় বিল তিনটি পাস হলে, সই করবেন রাষ্ট্রপতি। তার পর নয়া অপরাধ আইন কার্যকর হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। গণ-সাসপেনশনের পর এই মুহূর্তে রাজ্যসভাও কার্যত বিরোধীশূন্য। তাই সেখানেও বিল পাস হতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
#WATCH | Delhi: Home Minister Amit Shah in Lok Sabha says, “Now the accused will get seven days to file a plea for acquittal…The judge has to hold the hearing in those seven days and in a maximum time of 120 days, the case would come to trial. There was no time limit for plea… pic.twitter.com/7KzlLwnbPl
— ANI (@ANI) December 20, 2023
কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিলগুলির বিরোধিতা করে আসছিল বিরোধী শিবির। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিরোধী শিবিরের অন্যদের তরফে সেই নিয়ে বার বার চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করে, কারও মতামত গ্রাহ্য না করে বিলগুলি পাস করানোর প্রচেষ্টায় মোদি সরকার রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি দেশের আইন বিশারদ থেকে বিচারপতি, আমলা, মানবাধিকার সংস্থা, কারও কোনও মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, নয়া বিল এনে মোদি সরকার ঘুরপথে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ফেরাতে চাইছে, দেশের আইনশৃঙ্খলার খোলনলচে বদলে দিতে চাইছে বলেও বিরোধীরা দাবি করেন।
বিরোধীদের সেই অভিযোগ কার্যতই বৈধতা পেল বুধবার। এদিন বিল নিয়ে আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “আগে রাজদ্রোহ আইন ছিল। আমরা সেটিকে দেশদ্রোহ আইন করলাম। কারণ রাজদ্রোহ বলতে ব্যক্তির বিরোধিতা বোঝায়, আমরা দেশকে যোগ করলাম। দাসত্বের চিহ্ন মুছে দিলেন নরেন্দ্র মোদি। যাঁরা দেশের ক্ষতি করবেন, কেউ নিস্তার পাবেন না।” গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার সাজা ফাঁসি বলেও এদিন জানান সংসদে জানিয়ে দেন অমিত শাহ। এদিন শাহ জানান, সি আর পি সি -তে ৪৮৪টি ধারা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫৩১ করা হয়েছে। ১৭৭টি ধারায় পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে, যোগ করা হয়েছে ৯টি নতুন অনুচ্ছেদ। ৩৯টি উপধারাও যুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আনা হয়েছে ৪৪টি নতুন ধারাও।
❤ Support Us