- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
সংসদে হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক, সাসপেন্ড ৮ নিরাপত্তা আধিকারিক
বুধবার সংসদে হামলার ঘটনার পর থেকে সারাদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। অবশেষে বৃহস্পতিবার অধিবেশন শুরুর আগেই বুধবার সংসদে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও আরও তিন হেভিওয়েট নেতা হাজির ছিলেন। জানা গিয়েছে, সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ও অনুরাগ ঠাকুর। সংসদে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮ জন নিরাপত্তা আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংসদ ভবনের প্রবেশ পথে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন ওই ৮ জন নিরাপত্তা আধিকারিক।
বুধবার সংসদে অধিবেশন চলাকালীন দুই ব্যক্তি স্মোক বম্ব নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে শুরু করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সেই তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে প্রাথমিক ভাবে। জানা গিয়েছে, বাদল অধিবেশন চলাকালীনই সংসদে ঢুকে যাবতীয় খোঁজখবর নিয়েছিল এই অভিযুক্তরা। কীভাবে ভবনে ঢুকে হামলা চালানো হবে, তা স্থির করতে নতুন সংসদ ভবনের রেপ্লিকাও বানিয়েছিল তারা। বুধবার ৬ জনই সংসদে ঢুকতে চেয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
তবে প্রাথমিক তদন্তে দাবি, সংসদে তাণ্ডব চালানোর কোনও উদ্দেশ্যই ছিল না ওই ছয় জনের। তারা প্রধানত কেন্দ্রের কাছে দেশের বেকার সমস্যার কথা তুলে ধরতেই সংসদে হাজির হয়। ১৩ নয়, ১৪ ডিসেম্বর হানা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু ১৩ তারিখেই সংসদে ঢোকার পাস পেয়ে যায় তারা। তারপর রেডিও ট্যাক্সি চেপে সংসদের দিকে যায় ৬ আততায়ী। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে।
তবে সংসদের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে কী করে স্মোক বম্ব নিয়ে ঢুকে পড়ল দুই ব্যক্তি, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে ৮ নিরাপত্তা আধিকারিককে। সংসদের মূল প্রবেশপথ ও দরজার কাছেই তাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। বুধবারের এই ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয় সংসদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জবাব দাবি করেন বিরোধীরা। হট্টগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রীও সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন।
❤ Support Us