- দে । শ
- মে ১৭, ২০২৩
মাদ্রাসায় শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন, এলাহাবাদ হাইকোর্টে এফিডেভিট পেশ

মাদ্রাসা পঠন পাঠন ব্যবস্থা পড়ুয়াদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। সেখানে পড়ুয়াদের যে ধরনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে তাও যথাযথ নয়। এই মর্মে এলাহাবাদ হাইকোর্টে এফিডেভিট পেশ করেছে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকসন অব চাইল্ড রাইটস বা এনসিপিসিআর।সে রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের জন্যে অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকসন অব চাইল্ড রাইটসের আইনজীবী, স্বরূপামা চতুর্বেদী এই এফিডেভিট পেশ করেন। সরকারি অর্থ ব্যবহার করে মাদ্রাসাগুলিতে যে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, তা অসাংবিধানিক কিনা সেব্যাপারে আদালতের অভিমত ও নির্দেশ চাওয়া হয়েছে।
গত মার্চে এলাহাবাদ হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার এবং সে রাজ্যের সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে যেন এফিডেভিট পেশ করা হয়। এরপর ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকসন অব চাইল্ড রাইটসের তরফে দাবি করা হয়, সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত মাদ্রাসায় যে পঠনরীতি, তাতে পিছিয়ে পড়ছে সেখানকার পড়ুয়ারা, ফলে তাদের শিক্ষার মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে । কারণ মাদ্রাসায় যে ধরনে্র পঠনপাঠন হয় তার কার্যকারিতা নেই। ফলে মাদ্রাসাশিক্ষা একদিকে যেমন শিক্ষার অধিকার আইনের পরিপন্থী, অন্যদিকে তা জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টেরও পরিপন্থী।
ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকসন অব চাইল্ড রাইটসের তরফে যে এফিডেভিট পেশ করা হয়েছে, তাতে এও বলা হয়েছে, সাধারণ স্কুলগুলিতে যে ধরনের শিক্ষা দেওয়া হয়, মাদ্রাসাগুলিতে তা দেওয়া হয় না। এছাড়া শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে মাদ্রাসাগুলিকে স্কুলের পর্যায়ভুক্তও করা যাবে না। সেকারণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাদ্রাসা শিক্ষা চালু করাটা শিক্ষা অধিকার আইনেরও পরিপন্থী। এছাড়া শিক্ষার অধিকার আইনানুসারে, ৬ থেকে ১৪ বছর বয়স্ক ছেলেমেয়েদের বাধ্যতামূলক এবং অবৈতনিক শিক্ষাপ্রদান করতে হবে।
ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকসন অব চাইল্ড রাইটসের তরফে আরও বলা হয়েছে, স্বীকৃত মাদ্রাসাগুলির পাশাপাশি ভারতে অনেক অস্বীকৃত মাদ্রাসাও রয়েছে। ওই মাদ্রাসাগুলিতে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে, অভাব রয়েছে সঠিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকের।
❤ Support Us