Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ১১, ২০২৩

সংসদ থেকে বহিষ্কার। বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের মহুয়ার

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সংসদ থেকে বহিষ্কার। বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের মহুয়ার

টাকার বিনিময় সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে লোকসভার এথিক্স কমিটির সুপারিশে সাংসদ পদ হারিয়েছেন তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদ  মহুয়া মৈত্র। গত শুক্রবার লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশের পর ধ্বনিভোটে মহুয়া মৈত্রকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন স্পিকার ওম বিড়লা। ওই দিনই মহুয়া মৈত্র সংসদের বাইরে বেরিয়ে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সব নেতানেত্রীদের পাশে নিয়ে বলেছিলেন, তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। তাঁর অভিযোগ ছিল তাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তার প্রমাণ কোথায়? যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের তিনি মুখোমুখি চেয়েছিলেন, তবে তাঁর আবেদনের কিছুই শোনা হয়নি। এবার এই বিষয়টিকে শীর্ষ আদালতে নিয়ে গেলেন মহুয়া মৈত্র। অনলাইনে মহুয়া মৈত্র সুপ্রিম কোর্টে সংসদ থেকে তাঁকে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। দ্রুত এই  মামলার শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, যে পদ্ধতিতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। মোট ১৫ পাতার একটি আবেদন তিনি জমা দিয়েছেন। মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদরাই। রিপোর্টে সেকথা উল্লেখ করে প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্তের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন মহুয়া। ১৫ পাতার রিপোর্টে মহুয়া এও উল্লেখ করেছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে কীভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া এড়িয়ে লোকসভায় স্রেফ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে , এক তরফ ভাবে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মহুয়া।

মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রের মোদি সরকার ঘনিষ্ট শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছেন। এই কারণে তিনি নিজের সংসদের পোর্টালের লগ-ইন আইডি, পাসওয়ার্ডের মতো গোপন তথ্য অন্যকে দিয়েছেন। কিন্তু মহুয়া মৈত্রর দাবি, এই তথ্য শেয়ার করা যাবে না বা করতে পারবেন না, এমন কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তিনি জনগণের প্রশ্ন সংসদে তুলতে চেয়ে নথিভুক্ত করার জন্য বন্ধু দর্শন হিরানন্দানির সংস্থার সাহায্য নিয়েছিলেন। এই বিষয়টিও সুপ্রিম কোর্টে তাঁর ১৫ পাতার রিপোর্টে জানিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। প্রসঙ্গত এই একই কথা মহুয়া এথিক্স কমিটির সামনেও বলেছিলেন, সেটা বাইরে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!