- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
মালদহের সরকারি গেস্ট হাউসে না রাহুলকে ! রাত্রি বাসের জন্য পাচ্ছেন না বহরমপুর স্টেডিয়াম
রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে একের পর এক প্রতিবন্ধকতা আসছে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা মালদায় প্রবেশ করার কথা। ওই দিন রাহুল গান্ধির মধ্যহ্নভোজের জন্য মালদার সরকারি অতিথিশালা বা সরকারি গেস্ট হাউস চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওইদিন মালদা সফরে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সরকারি গেস্ট হাউসে ওইদিন কাউকে থাকা-খাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
এদিকে মুর্শিদাবাদেও রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় প্রশাসনিক বাধা এসেছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি রাহুল গান্ধির বহরমপুর থাকার কথা। ওইদিন রাত্রিবাসের জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতিও বাতিল করে দিয়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক জানিয়ে দিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারি রাহুল গান্ধিকে রাত্রিবাসের জন্য দেওয়া যাবে না।
মালদা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তণ বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার অভিযোগ করেন, সরকারি আধিকারিকেরা কংগ্রেসকে সরকারি গেস্ট হাউস ব্যবহার করতে দিতে ভয় পাচ্ছেন, কারণ তা হলে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভে পড়তে পারেন। তাই কংগ্রেসের আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। ভূপেন্দ্রর দাবি, ‘‘সরকারি নিয়ম মেনেই অতিথিশালায় রাহুল গান্ধির মধ্যাহ্নভোজের জন্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদনে সম্মতি দেওয়া হল না।’’
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ বলেন, “অন্যরাজ্যে বিজেপি যা করছে এই রাজ্যে সেটাই ন্যায় যাত্রার বিরুদ্ধে তৃণমূল করছে। আমরা রাজ্যের বিরোধী দল, আমাদের বিরুদ্ধে করছেন সেটা মানি। কিন্তু রাহুল গান্ধি রাজ্যের অতিথি। তিনি ন্যায় যাত্রা করছেন বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে। বেকারির বুরুদ্ধে, রুটি,রুজির দাবিতে। রাজ্যের শাসক দলের যদি মনে হয় ন্যায় যাত্রা পছন্দ নয় সেটা বলুক। আসলে রাজ্যের শাসক দল চাইছে না এই রাজ্যে ন্যায় যাত্রা হোক। তাই তৃণমূল এবং বিজেপি সার্বিক ভাবে ন্যায় যাত্রা রোখার সব চেষ্টা চালাচ্ছে। রাহুল গান্ধিকে থাকার, খাবার জায়গা দিচ্ছে না। এই ন্যায় যাত্রা দেখে তৃণমূল-বিজেপি আসলে ভয় পেয়েছে। দেখছেন না কি অশ্রাব্য কথা বিজেপি -তৃণমূল বলছে। ছিঃ!”
কংগ্রেসের এই বক্তব্যের উত্তরে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলালচন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘সারা বছর ঘুমিয়ে থাকে কংগ্রেস। ভোট আসলে জেগে ওঠে। অভিযোগ করা ছাড়া কংগ্রেসের কোনও কাজ নেই। এই জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের নানান প্রকল্পের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই সরকারি গেস্ট হাউসগুলি বুকিং করা হয়, যাতে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা থাকতে পারেন। হঠাৎ করে কংগ্রেস নেতা এলে তাঁকে অতিথিশালা দেওয়া সম্ভব নয়। এই রাজনীতি মালদহে চলে না।’’
❤ Support Us