- Uncategorized প্রচ্ছদ রচনা
- নভেম্বর ৮, ২০২২
খাড়গের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর নোটবন্দী পদক্ষেপ মহাকাব্যিক ব্যর্থতা

৬ বছর আগে, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করে তিনি বলেছিলেন, এর ফলে দেশের সব কালো টাকা উদ্ধার হবে এবং আর্থিক দুর্নীতি কমবে। পাশাপাশি ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে ওঠার কথাও তিনি বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই দাবি ভুল প্রমান হয়ে গেল। কালো টাকা যেমন উদ্ধার হয়নি, আর্থিক দুর্নীতিও কমেনি। নরেন্দ্র মোদির সেই নোটবন্দীকরণর পদক্ষেপকে মহাকাব্যিক ব্যর্থতা বলে দাবি করেছেন কংগ্রেসের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি মনে করেন, সরকারের নোট বাতিলের পদক্ষেপ দেশকে অর্থনৈতিক পতনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইটারে নরেন্দ্র মোদির সেই সিদ্ধান্তকে আক্রমণ করে লিখেছেন, ‘দেশকে কালো টাকা মুক্ত করার জন্য বিমুদ্রাকরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই সিদ্ধান্ত দেশের ব্যবসা–বানিজ্যকে ধ্বংস করেছে। চাকরি ধ্বংস করেছে। নোট বাতিলের সেই সিদ্ধান্তের ৬ বছর পরে জনসাধারণের কাছে ২০১৬ সালের তুলনায় এখন ৭২ শতাংশ বেশি। প্রধানমন্ত্রী এখনও এই মহাকাব্যিক ব্যর্থতা স্বীকার করেননি যা দেশকে অর্থনৈতিক পতনের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। অন্য একটা টুইটে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘কালো টাকা আসেনি, শুধু দারিদ্র্য এসেছে, অর্থনীতি ক্যাশলেস হয়নি, দুর্বল হয়ে গেছে।’
শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রকাশিত অর্থ সরবরাহের পাক্ষিক তথ্য অনুসারে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত টাকার অঙ্ক ৩০.৮৮ লক্ষ কোটি বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের অর্থনীতিতে নগদের পরিমাণ ছিল ১৭.৭০ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২২ সালের প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি পৌঁছে প্রায় ৭১.৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে নগদ বৃদ্ধির পরিমাণ।
বলা বাহুল্য, নোট বাতিল মানুষকে ডিজিটাল অর্থনীতি নির্ভর করে তুলতে পারেনি। গলা ভরা ঘোষণাই করেছিলেন মোদী। নোট বন্দি হলেই নাকি দেশের সব কালো টাকা ফিরবো। কিন্তু কালো টাকা উদ্ধার হয়নি। জালনোটের দেদার রমরমা চলছে। আজও ডিজিটাল অর্থনীতির স্বপ্নপূরণ হয়নি। নোট বাতিলের সময় মোদী দাবি করেছিলেন, দেশের অর্থনীতির নগদ নির্ভরতা কমাতে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, নোট বাতিল ডাহা ফেল।
❤ Support Us