- প্রচ্ছদ রচনা
- জুলাই ১২, ২০২২
পাহাড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা: দার্জিলিংয়ের মধ্যে হবে নতুন শৈল শহর । থাকবে শপিংমল, হোমস্টে, ছোট দোকান, রেস্তোরাঁ ।

জিটিএ বোর্ডের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আজ পাহাড়ে উন্নয়নের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, পাহাড় শান্তি চায়, উন্নয়ন চায় । ঘোষণা করলেন দার্জিলিংয়ে ২০০ একর জায়গায় আরও একটি শৈল শহর গড়ে তুলবেন । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন সেখানে থাকবে শপিংমল, হোমস্টে, ছোট দোকান, রেস্তোরাঁ—ইত্যাদি। মূল শহরের আশপাশেই এই নতুন শহর গড়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিন অনীত থাপাদের পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য একটাই—পাহাড়ের শান্তি আর অর্থনৈতিক বিকাশ। সেই কারণেই পাহাড় জিটিএ চায়। এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আগে কখনও দেখিনি। গত ১০ বছরে আমরা জিটিএকে ৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি । পাহাড়ে শান্তি থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। ‘জিটিএ নির্বাচনে এবার অনীত থাপাদের দলের সঙ্গে জোট করে লড়েছিল তৃণমূল। পাহাড়ের স্থানীয় প্রশাসনের ভোটে ঘাসফুল শিবির খাতা খুলেছে। সেইসঙ্গে এও, অনীত থাপারা যে বিপুল সমর্থন পেয়ে জিটিএ-এর ক্ষমতায় এসেছে তা অভাবনীয়। কারণ কয়েক মাস আগেও পাহাড়ের পুর নির্বাচনে অনীতদের এই দাপট দেখা যায়নি। সেই ভোটে আবার অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি মাথা তুলেছিল পাহাড়ে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দার্জিলিংকে শুধু পর্যটনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না তিনি। পাহাড়ের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের জন্য বিকল্প বন্দোবস্তের কথা বলেছেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পাহাড়ের ঝর্ণার জল বোতলে প্যাকিং করে কী ভাবে পৃথক একটি শিল্প গড়ে তোলা যায় তাও প্রশাসনিক কর্তাদের ভাবার কথা বলেছেন তিনি।
পাশাপাশি, রাস্তায় নেমে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে জনসংযোগেও নামলেন মুখ্যমন্ত্রী । দার্জিলিংয়ের রাস্তায় ফুচকা তৈরি করে নিজের হাতে বাচ্চাদের খাওয়ালেন মমতা।মঙ্গলবার তাঁর ঠাসা কর্মসূচির মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর চলে যায় রাস্তার ধারের একটি ফুচকার দোকানে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে এসে দোকানের বয়াম থেকে ফুচকা নিয়ে নিজের হাতে তাতে মশলা দিয়ে ফুচকা বানাতে লেগে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তৈরি ফুচকা তেঁতুল গোলা জলে ঢুবিয়ে তা তুলে দেন বাচ্চাদের হাতে। তাঁকে দেখে পুচকেদের ভিড় জমে যায়। ফুচকা বানানোর ফাঁকে সবার সঙ্গে কথাও বললেন তিনি।
নিজেও খেলেন। বুঝিয়ে দিলেন, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। দোকানের মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। আরও একবার মমতাকে এত কাছ থেকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রাও । এক নতুন দার্জিলিং গড়ার স্বপ্ন দেখান তিনি । তারপরই রওনা দেন নতুন কফি হাউসের উদ্বোধন করতে। সেখানে গিয়ে মাতেন আড্ডা-গানে । মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে মাত্র তিন মাসের মধ্যে দার্জিলিংয়ে তৈরি হয়ে গেল এই রুফটপ ক্যাফে ‘কাফে হাউস’।
❤ Support Us