- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ১৯, ২০২৪
সোমবার অনশনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা নবান্নে, ফোনে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

দাবি না মিটলে মঙ্গলবার থেকে চিকিৎসক আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়বে, সিনিয়র চিকিৎসদের সঙ্গে বৈঠকের পর তা স্পষ্ট করেছিলেন রাজ্যের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা । তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলন মঞ্চে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব । মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের মাধ্যমে ফোনে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা ঘণ্টাখানেক কথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি সোমবার নবান্নে মুখোমুখি আলোচনার প্রস্তাব দেন অনশনরত চিকিৎসকদের ।
সোমবার বিকেল পাঁচটায়, নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় । আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দশজন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি । আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের পথ থেকে সরে আসার আরজি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ অনশন তুলে দয়া করে কাজে যোগ দিন । ‘ একইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের দাবিপূরণের জন্য ৩-৪ মাস সময় চেয়ে নিলেন তিনি । ফোনে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছ থেকে দশ দফা দাবি শুনতে চান তিনি । তবে আট দফা দাবি শোনান জুনিয়ররা । দ্রুত ও স্বচ্ছ বিচার, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, রেফারেল ব্যবস্থা, ফাঁকা বেডের খতিয়ান, হাসপাতাল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে আপত্তি, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মতো আট দফা দাবির কথা উল্লেখ করেন আন্দোলনকারীরা । বাকি দুদফা দাবি বৈঠকের টেবিলে বলবেন বলেই জানান চিকিৎসকরা।
সোমবার আলোচনার প্রস্তাব দিলেও মুখ্যমন্ত্রী অনশনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময়, স্পষ্ট করেছেন, স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ থাকে তবে তা তদন্ত করে দেখা হবে, তবে এখনি তাঁকে পদ থেকে সরানো যাবে না । ফোনো চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘ আপনাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত । সাধ্যমতো যতটা পারব, সহযোগিতা করব । ‘ এর পরই তাঁর সংযোজন, ‘ আন্দোলন করা আপনাদের অধিকার । আগেরবার পাঁচটা দাবির মধ্যে চারটি মেনে নিয়েছি । একটি দফতর থেকে সবাইকে একসঙ্গে সরিয়ে দিলে দফতর চলতে পারে না । তিনি আরো বলেন, তিনি মানবিকতার পক্ষে। তিনিও বিচার চান। কিন্তু হাসপাতালে যদি সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পান, তা হলে তাঁরা কোথায় যাবেন, সেই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আদালতে মামলা চলছে। বিচার মিলবে। আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করব। হাসপাতালের উন্নয়নে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সরকারি হাসপাতাল পরিষেবা না দিলে মানুষ কোথায় যাবে? দিদি হিসেবে বলছি, আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হবে। আপনারা অনশন তুলে দয়া করে কাজে যোগ দিন। ‘ সিভিক ভলান্টিয়ারের বদলে রাজ্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে পুলিশ মোতায়েনের প্রসঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত আইনি জটিলতার কথা বলেন তিনি ।
❤ Support Us